রাজধানীতে ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ‘দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী সিম্পোজিয়াম-২০১৯’। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; ব্র্যাক জেমস পি. গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ (জেপিজিএসপিএইচ) এবং সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠেয় এ সিম্পোজিয়ামের প্রতিপাদ্য ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে অসংক্রামক ব্যাধির নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্ভাবনা’।
সিম্পোজিয়ামে বিশ্বের ৩৫টি দেশ থেকে আগত ৫০০ ডেলিগেটের মধ্যে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও চিকিৎসক, শিক্ষক ও গবেষকরা অংশ নেবেন। ভিন্ন সেশনে ১৪১টি গবেষণাপত্র মৌখিক ও পোস্টার আকারে উপস্থাপন করবেন গবেষকরা।
গতকাল দুপুরে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিম্পোজিয়ামের পরিকল্পনা, উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিমা সুলতানা বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সারা বিশ্বে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীরা একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করছেন।
১৯২০ সালের দিকে প্রথম চীনে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীরা জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কর্মসূচি, টিকাদান কর্মসূচি এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাদান কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। বর্তমানে কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীরা অবশ্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা কর্মী হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের মতো দেশে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা খাতে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী ধারণাটি অনিবার্য গুরুত্ব লাভ করেছে।