বড় পরীক্ষার মধ্য দিয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামীকাল ইন্দোরে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে দ্বৈরথে নামবে টাইগাররা। টেস্টে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান অনুধাবন করার জন্য একটা তথ্যই যথেষ্ট। এরই মধ্যে ২৪০ পয়েন্ট তুলে নিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যািম্পয়নশিপের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে ভারত। সেখানে র্যাংকিংয়ে নয় নম্বর স্থানে থাকা বাংলাদেশ শুরু করছে শূন্য হাতে।
এমনিতেই একটা ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় আছেন দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার জায়গায় ভারত সফরের আগে হঠাৎ করেই নেতৃত্বের গুরুভার তুলে দেয়া হয়েছে মুমিনুলের কাঁধে। অবশ্য সাকিবকে ছাড়াই সবে শেষ টি২০ সিরিজে ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের এ সিরিজে মাহমুদউল্লাহর দল হেরেছে ১-২ ব্যবধানে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে জয় জয় সুবাস ছড়িয়েও শেষদিকে খেই হারায় বাংলাদেশ। তবে টি২০ আর টেস্ট ক্রিকেটে ব্যবধান বিস্তর। সাম্প্রতিক সময়ে লংগার ভার্সন ক্রিকেটে নিজেদের অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে ভারত। আর ঘরের মাঠে তো বিরাট কোহলির দল রীতিমতো বিধ্বংসী।
একটা সময় মনে করা হতো, ভারত শুধুই ব্যাটিংনির্ভর দল। কিন্তু এখন বাস্তবতা আলাদা। পেস ও স্পিন দুই বিভাগেই বিশ্বের যে কোনো বোলিং অ্যাটাককে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে ভারত। বল হাতে আগুন ঝরাতে পারেন জসপ্রিত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মার মতো পেসাররা আবার ঘূর্ণি মায়াজালে বিপক্ষ দলকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারে রবিচন্দ্র অশ্বিন, কুলদিপ জাদব, রবীন্দ্র জাদেজার মতো স্পিনাররা। ভারতের বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিং বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কতটা সামলাতে পারবে, বড় হয়ে উঠেছে এ প্রশ্নটাই। সর্বশেষ তিন টেস্টের সিরিজে স্বাগতিক ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।