৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য উদ্যোক্তা ও পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৯৯ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৮ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৪২ টাকা ৪৪ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)।
সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ঘোষিত লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনার জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার পুষ্পগুচ্ছ হলে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২ ডিসেম্বর।
বর্তমানে বসুন্ধরা পেপারের মোট শেয়ার সংখ্যা ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ৯১ হাজার ৪৪১। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে ১৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৫টি শেয়ার। উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটি মোট ৩ কোটি ৯০ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৯ টাকার লভ্যাংশ বিতরণ করবে।
গত বছরের জুলাইয়ে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় বসুন্ধরা পেপার। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বসুন্ধরা পেপার। সে হিসাব বছরে কোম্পানিটির মোট বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৮২ কোটি টাকা। কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬৯ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বসুন্ধরা পেপার শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৪৬ টাকা ১০ পয়সা। দিনভর দর ৪৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৫১ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ৪৬ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৪২ টাকা ৮০ পয়সা ও ১০৩ টাকা ৮০ পয়সা।
ডিএসইর তথ্য অনুসারে, বসুন্ধরা পেপার মিলসের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১৭৩ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।