৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৯২ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ২৯ পয়সা। এ হিসাবে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে ৩৭ পয়সা বা ১১ দশমিক ২৫ শতাংশ। ৩০ জুন প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ১৯ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৩৪ টাকা ৮৫ পয়সা।
সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে মেঘনা সিমেন্টের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। আগামী ১৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার গুলনকশা হলে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২ ডিসেম্বর।
সর্বশেষ এনটিটি রেটিং অনুযায়ী মেঘনা সিমেন্টের অবস্থান ‘এ টু’। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, একই বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক দায়, অন্যান্য আনুষঙ্গিক তথ্যের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ (সিআরএবি)।
২০১৮ হিসাব বছরে মেঘনা সিমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছে। ২০১৭ হিসাব বছরে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা।
ডিএসইতে গতকাল শেয়ারটির সর্বশেষ দর ছিল ৭৭ টাকা ২০ পয়সা। সমাপনী দর ছিল ৭৭ টাকা ৭০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৭১ টাকা ১০ পয়সা ও ১০৯ টাকা ৬০ পয়সা।
১৯৯৫ সালে তালিকাভুক্ত মেঘনা সিমেন্টের অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৬১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্য ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ৪৪০। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৪৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩২ দশমিক ৭০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।