বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে অব্যাহত আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। আগাম নির্বাচনে তার জয়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সেনাপ্রধান তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। গত রোববার পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো ২০ অক্টোবরের ভোটে ‘জালিয়াতির স্পষ্ট প্রমাণ’ পেলেও মোরালেস বলেছেন, তিনি অভ্যুত্থানের (ক্যু) শিকার হয়েছেন। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ান।
একটি টেলিভিশন বক্তৃতায় প্রায় ১৪ বছর ধরে দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা মোরালেস জানান, তিনি দেশের কল্যাণের স্বার্থে পদত্যাগ করছেন। তবে বিরোধীদের দিকে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালানোর অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারী মহল আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
পরে এক টুইটে তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে ‘অবৈধ’ একটি পরোয়ানা আছে এবং ‘সহিংস গোষ্ঠীগুলো’ তার বাড়ি আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ করেন।
কিন্তু এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে বলিভিয়া পুলিশের কমান্ডার মোরালেসকে গ্রেফতারের কোনো পরোয়ানা তাদের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন। মোরালেসের পাশাপাশি বলিভিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট আলবারো গার্থিয়া লিনেরাও পদত্যাগ করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ভাংচুর হওয়া মোরালেসের একটি বাড়িতে কিছু বলিভিয়ান হাঁটাহাঁটি করছে।
টেলিভিশন বক্তৃতায় বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোরালেস বলেন, ভাই ও বোনদের ওপর হামলা বন্ধ করুন, জ্বালাও-পোড়াও ও হামলা বন্ধ করুন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে বলিভিয়ায় চরম অস্থিরতা বিরাজ করছিল।
নির্বাচনের দিন রাতে ভোট গণনা ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর ঘোষিত চূড়ান্ত ফলে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট মোরালেস প্রথম পর্বে সরাসরি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১০ শতাংশীয় পয়েন্ট ভোটে এগিয়ে আছেন। বিরোধী দলগুলো নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে রাস্তায় নেমে আসে। তখন থেকে চলা অস্থিরতায় অন্তত তিনজন প্রাণ হারিয়েছে। একপর্যায়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উর্দি পরা কিছু পুলিশ কর্মকর্তাকেও বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যায়।
অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের (ওএএস) নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলটি রোববার জানায়, ওই নির্বাচনে তারা ব্যাপক কারচুপির প্রমাণ পেয়েছে। ভোটের ফলাফল সুষ্ঠু হলো কিনা, তা নিশ্চিত করতে পারেননি তারা।
রোববার দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মোরালেসের ওপর চাপ বাড়তে শুরু করে। তার কয়েকজন রাজনৈতিক মিত্র পদত্যাগ করেন এবং কয়েকজন তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল