ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩

বণিক বার্তা ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশে। এছাড়া এখন পর্যন্ত মেঘনা নদীতে ঝড়ে নিখোঁজ পাঁচ জেলের কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মৃতদের অধিকাংশ নিজ আবাসস্থল থেকে নিরাপদ স্থানে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তাদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছচাপায়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার তীব্র স্রোত ঘূর্ণিবায়ুর তোড়ে নৌকা উল্টে পাঁচ জেলে নিখোঁজ হন। ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ছয় হাজার ঘরবাড়ি আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলার প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলামের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আটকে পড়া প্রায় হাজার ২০০ পর্যটককে উদ্ধারের জন্য গতকালই একটি জাহাজের সেখানে যাওয়ার কথা ছিল।

এদিকে প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাতজনে। রাজ্য সরকারের দুর্যোগমন্ত্রী জাভেদ খান রোববার সন্ধ্যায় কথা জানান।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে উপকূলীয় জেলাগুলোর পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

ভোলা: ভোলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে দুই শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। এছাড়া মেঘনায় একটি মাছ ধরা ট্রলার ডুবে পাঁচ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফা ঝড়ে লালমোহন চরফ্যাশন উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিশেষত লালমোহন উপজেলার গজারিয়া চরপেয়ারী মোহন এবং চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর, নজরুল নগর, ওসমানগঞ্জ কলমিতে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেশি। এছাড়া প্রবল বর্ষণে আমন ধানসহ প্রায় ৫০ শতাংশ ফসল সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের নং ওয়ার্ড পশ্চিম চর উম্মেদ ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে কয়েক মিনিটের টর্নেডোর আঘাতে অর্ধশত ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। উপড়ে পড়ে শতাধিক গাছ।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার রাব্বী বলেন, ওই সময় ঝড়ে মুহূর্তেই অর্ধশত বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে। উপড়ে পড়ে বহু গাছপালা। ঘরের নিচে চাপা পড়ে আহত হয়েছেন ১০-১২ জন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন