অ্যানফিল্ডে টানা ৪৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল লিভারপুল। গত মৌসুমে এই সিটির কাছে হেরেই শেষ পর্যন্ত শিরোপাবঞ্চিত থাকতে হয়েছিল ‘অল রেড’দের। তাই শীর্ষস্থান সংহত করার পাশাপাশি ছিল প্রতিশোধের উপলক্ষ। অন্যদিকে সিটির লক্ষ্য ছিল লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান কমিয়ে আনার। মাঠের লড়াইয়ে লিভারপুলকে দারুণভাবে টেক্কাও দিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দারুণ নৈপুণ্য দেখানো অল রেডদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। হারতে হয়েছে ৩-১ গোলে। অবশ্য এ হারের জন্য ভাগ্যকেও দুষতে পারে তারা। পেনাল্টি পেতে পারত পেপ গার্দিওলার দল। কিন্তু ভিএআরের সিদ্ধান্ত গেছে লিভারপুলের পক্ষেই। এজন্য প্রতিপক্ষ কোচ ইয়ুর্গেন ক্লোপের কাছ থেকে সমবেদনাও পেলেন গার্দিওলা। ক্লোপ বলেন, ‘আমার পক্ষ থেকে পেপের জন্য সমবেদনা থাকল। কিন্তু বিষয়টি আমি খেয়াল করিনি। যেটা আমি শুনেছি, বল প্রথমে ডেভিড সিলভার হাতে লেগেছে, এরপর সেটি লাগে আলেকসান্দার-আরনল্ডের হাতে।’
অ্যানফিল্ডে বল দখল ও সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল সিটিই। কিন্তু সেসব আক্রমণ ও প্রচেষ্টা লিভারপুলকে বিপদে ফেলার মতো ছিল না। উল্টো লিভারপুল ডিফেন্সের পারফরম্যান্সই ছিল অনেক নিখুঁত। বিশেষ করে ৭৮ মিনিটে এক গোল করে ব্যবধান কমানোর পর বাকি সময়ে দাপট দেখিয়েছে সিটি। কিন্তু চাপের মুখে পড়েও পথ হারায়নি লিভারপুল ডিফেন্স।
শুরু থেকেই উত্তেজনার আভাস ছিল। লড়াই জমিয়ে তুলেছিল দুই পক্ষই। ৬ মিনিটেই পেনাল্টি পেতে পারত সিটি। ডি বক্সে বল লেগেছিল আরনল্ডের হাতে। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায়, সেই বল ডেভিড সিলভার হাতে লেগেই আরনল্ডের কাছে যায়। সিটি খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ করলেও রেফারি ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। সেই প্রতি-আক্রমণ থেকে সাদিও মানের ক্রস সিটি ডি-বক্সে প্রতিহত হয়ে ফিরে এলেও বল চলে যায় বাইরে থাকা ফাবিনহোর কাছে। আগুনে শটে বল জালে জড়িয়ে লিভারপুলকে প্রথম লিড এনে দেন ফাবিনহো। সিটি খেলোয়াড়দের প্রতিবাদের মুখে ভিএআরের শরণাপন্ন হন রেফারি। যদিও সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসেনি। ১৩ মিনিটে দ্বিতীয়বার ধাক্কা খায় সিটি। অ্যান্ড্রু রবার্টসনের ক্রসে বল পেয়ে নিচু হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মোহাম্মদ সালাহ। এবার অফসাইডের দাবি। তবে সিদ্ধান্ত আবারো লিভারপুলের পক্ষেই। দুই গোলে এগিয়ে থাকা স্বাগতিকদের সামনে প্রথমার্ধের বাকি সময়ে বেশ চাপের মুখে থাকে সিটি।
বিরতি