ব্যাডমিন্টনে জটিলতার মধ্য দিয়েই শুরু হয় এসএ গেমসের অনুশীলন। এ কারণে প্রস্তুতিটা আদৌ প্রত্যাশিত মানে হয়েছে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। গেমসের জন্য শাটলাররা নিজেদের কতটুকু প্রস্তুত করতে পেরেছেন, তা বোঝা যাবে নেপাল ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জে।
আগামীকাল কাঠমন্ডুতে শুরু হচ্ছে ব্যাডমিন্টন এশিয়া কনফেডারেশনের সূচিভুক্ত এ প্রতিযোগিতা, শেষ হবে ১৭ নভেম্বর। নারী ও পুরুষ মিলিয়ে আট শাটলারের সঙ্গে যাচ্ছেন একজন করে কোচ ও ম্যানেজার। এসএ গেমসের ‘অ্যাসিড টেস্ট’-এর আজই নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল।
‘এসএ গেমসের প্রস্তুতি পর্বে ছিলেন আমাদের শাটলাররা। সেখানে অবশ্য ভিন্ন কোচদের অধীনে তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন। গেমসের প্রস্তুতি কেমন হয়েছে, তা এ আসরে বোঝা যাবে’—গতকাল বণিক বার্তাকে বলেন বাংলাদেশ দলের কোচ অহিদুজ্জামান রাজু। যোগ করেন, ‘গেমসের জন্য তিন মাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আমাদের শাটলাররা। এ অবস্থায় তাদের ভালো করার কথা। সে দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিযোগিতা নিয়ে আমি আশাবাদী।’
গৌরব সিংহ, এসএম সিবগাত উল্লাহ, মো. সালমান খান ও তুষার কৃষ্ণ রায়কে নিয়ে গড়া হয়েছে পুরুষ দল। নারী দলে রয়েছেন শাপলা আক্তার, এলিনা সুলতানা, বৃষ্টি খাতুন ও রেহানা খাতুন। ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করবেন আলমগীর হুসাইন।
নেপালের এ প্রতিযোগিতায় নিয়মিতই অংশগ্রহণ করে আসছে বাংলাদেশ। ধারাবাহিকভাবে এ আসর থেকে ব্রোঞ্জ পদক পেয়ে আসছিল বাংলাদেশ। সব পদকই এসেছে নারী বিভাগ থেকে। গত বছর অবশ্য সে ধারায় ছেদ পড়ে। কাঠমান্ডু থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল লাল-সবুজদের।
‘আমাদের শাটলাররা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আশা করছি, এবার শূন্য হাতে ফিরতে হবে না। একক ইভেন্টের চেয়ে দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈত ইভেন্টে আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে’—প্রতিযোগিতায় নিজেদের লক্ষ্য সম্পর্কে বললেন বাংলাদেশ কোচ।
প্রতিযোগিতায় দ্বৈত ইভেন্টে একাধিক ব্রোঞ্জ এসেছে। ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে একমাত্র পদক জয় করেন শাপলা আক্তার। বাংলাদেশ আনসারের এ শাটলার বলেছেন, ‘প্রতিযোগিতার জন্য আমাদের প্রস্তুতি মন্দ না। আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে এবারো পদক নিয়ে ফিরতে পারব।’