শেষ হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ আমদানি মেলা

ফায়সাল করিম চীন থেকে

চীনের সাংহাইয়ে বসেছিল বিশ্বের সর্ববৃহৎ আমদানি মেলা চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপোর (সিআইআইই) দ্বিতীয় আসর। বিশ্বের ১৫৫টি দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে নিয়ে আয়োজিত ছয় দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হয় রোববার। এতে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নে অংশ নেয় নয়টি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া বেসরকারি পর্যায় থেকেও বাংলাদেশী বেশকিছু উদ্যোক্তা পাটজাত, কৃষিজাত ও চামড়াজাত পণ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিয়ে মেলায় হাজির হন।

নিজেদের বাজার আরো উদারীকরণের লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে চীন তাদের বাণিজ্য শহর সাংহাইয়ে এ মেলার আয়োজন করে আসছে। চীনের বৃহত্তম আমদানি-রফতানি মেলা ক্যান্টন ফেয়ারের পর এ মেলা এখন বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে নানা দেশের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের কাছে। প্রথম আসর থেকেই বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে এ মেলায়।

রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক অভিজিৎ চৌধুরি জানান, এবারের মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের রফতানি বাণিজ্যে বাড়তি কিছু যোগ হবে, পাশাপাশি দুই দেশের সম্পর্কেও তৈরি হবে নতুন মাত্রা। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে অনেক চীনা প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে, পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে অনেক বিনিয়োগ সম্ভাবনাও।

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ইপিবি ছাড়াও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বেপজা, বেজা, পর্যটন করপোরেশনসহ বিভিন্ন স্টলে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা জানান, বাংলাদেশে চূড়ান্ত বিনিয়োগে এরই মধ্যে অনেক চীনা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত যোগাযোগ করছেন, কেউ কেউ এরই মধ্যে বাংলাদেশে গিয়ে তাদের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন।

অন্যদিকে বেসরকারি পর্যায়ে অংশ নেয়া বাংলাদেশী স্টলেও ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে জানিয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান দাদা বাংলা মেলায় পাটজাত নানা পণ্য নিয়ে হাজির হয়। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নুরুস সাফা জানান, বিভিন্ন ধরনের পাটজাত পণ্যকে চীনা বাজারে আরো জনপ্রিয় করতে আমরা মেলায় অংশ নিয়েছি। জনবহুল চীনে পরিবেশবান্ধব পণ্যের ওপর দেশটির সরকার জোর দেয়ায় বাংলাদেশী পাট নিয়ে এদেশীয় ক্রেতারা ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন। তাই এবার আশার চেয়ে অনেক বেশি সাড়া পেয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন