ইরানে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেলের মজুদ আবিষ্কার

বণিক বার্তা ডেস্ক

মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন এজেন্সির (ইআইএ) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে জ্বালানি তেল মজুদে চতুর্থ শীর্ষ দেশ ইরান। আর গ্যাস মজুদে দ্বিতীয় শীর্ষ। তবে তথ্য পরিবর্তন করতে যাচ্ছে দেশটিতে বড় আকারের মজুদসমৃদ্ধ নতুন একটি তেলক্ষেত্র। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন ক্ষেত্রে হাজার ৩০০ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে। খবর রয়টার্স, আলজাজিরা।

পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে বিরোধের জেরে তেলসমৃদ্ধ দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সম্প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্ট নতুন তেলক্ষেত্র আবিষ্কারের দাবি করেছেন। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খুজেস্তানে হাজার ৪০০ কিলোমিটার বিস্তৃত ৮০ মিটার পর্যন্ত গভীর এটি। আহবায তেলক্ষেত্রের পর এটিই হবে দেশটির দ্বিতীয় শীর্ষ মজুদসমৃদ্ধ তেলক্ষেত্র। প্রথম ক্ষেত্রে হাজার ৫০০ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে।

ইআইএর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ইরানে ১৫ হাজার ৭০০ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেলের মজুদ ছিল। ফলে ইরানের দাবি করা আবিষ্কৃত তেলক্ষেত্রের ধারণক্ষমতা যদি সত্যি হয়, তাহলে এটি দেশটির জ্বালানি তেল মজুদে আরো শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাবে। বিশেষ করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশটির অর্থনৈতিক দুরবস্থাকে মজবুত করতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে জ্বালানি পণ্যটির মজুদে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ সৌদি আরবের পরই তৃতীয় অবস্থানে আসবে ইরান।

অন্যদিকে এনার্জি জায়ান্ট বিপির প্রতিবেদন বলছে, তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের প্রতিষ্ঠাতা দেশ ইরানে বর্তমানে ১৫ হাজার ৫৬০ কোটি ব্যারেল জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে। নতুন করে আবিষ্কৃত তেলক্ষেত্র দেশটির মোট রিজার্ভকে ৩৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেবে। এর আগে গত মাসে হাজার কোটি ডলার আয় আসতে পারে, এমন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করার ঘোষণা দিয়েছিলেন রুহানি।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় দীর্ঘদিন ধরে দেশটির অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ তেল অর্থনীতি নির্ভর দেশটিতে জ্বালানি তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবস্থার মধ্যে নতুন তেলক্ষেত্র আবিষ্কারকে জনগণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিরাট উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রেসিডেন্ট রুহানি।

নতুন তেলক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে ইরানের অর্থনীতি চাঙ্গা হতে পারে। মার্কিন কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভর করে অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনায় ট্রাম্প প্রশাসনেরও এক হাত নিতে ছাড়েননি রুহানি। তিনি বলেন, আমরা আমেরিকাকে বলতে চাই, তাদের নিষ্ঠুর শত্রুভাবাপন্ন আচরণের (নিষেধাজ্ঞা) পরও আমরা সমৃদ্ধ দেশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন