মানোন্নয়কৃত শিক্ষার্থীদের পক্ষে চবিতে ছাত্রসংগঠনের মানববন্ধন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, চবি

উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় স্থান শিক্ষার্থীদের পক্ষে মানববন্ধন করেছেন শাখা ছাত্রলীগ ও প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় মানোন্নয়নকৃত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এতে অংশ নিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবির এইচ তিতাশের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ধীষণ প্রদীপ চাকমা, শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি আইরিন সুলতানা, শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সায়মা আক্তার নিশু, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ইমাম উদ্দিন ফয়সাল পারভেজ, ছাত্রলীগ নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়।

মানোন্নয়নকৃত শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সুমাইয়া মেহরাজ, মো. মুনতাসিত, মো. মাঈনুদ্দিন প্রমুখ। এসময় মানোন্নয়নকৃত শিক্ষার্থীদের ভর্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন নেতাকর্মীরা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘কাউকে দোষ দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়া উচিৎ নয়। উপাচার্য মহোদয় সবার সাথে সম্মিলিত ভাবে এ বিষয়ের সমাধান করবেন বলে আশা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন রয়েছে, এসবের মাঝে জটিলতাও রয়েছে। এসব জটিলতা দূর করে কিভাবে উত্তীর্ণদের ভর্তির সুযোগ দেয়া যায়, এ ব্যবস্থা করুন। কারো চোখের জল নয়, আমরা চাই সুষ্ঠু সমাধান। ছাত্রলীগ সবসময় এধরনের যৌক্তিক দাবীর পাশে থাকব।’

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন হয়েছে। কিন্তু সার্কুলারে অসংগতির কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছেন না। যেখানে অস্পষ্টতা থাকে, সেখানেই জটিলতা সৃষ্টি হয়। এই শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত, অভিভাবকরা বারবার আমাদের কাছে সহায়তার জন্য আসছেন। আমরা তাদেরকে স্পষ্ট কোন জবাব দিতে পারছি না। কতটা অসহায় আর নির্মমতার শিকার হলে এভাবে তারা সাহায্য চাইতে পারে। এ ছেলে-মেয়েগুলোর যেহেতু পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে, সেহেতু তাদের সুযোগ দিতে হবে। ভুল সবারই থাকে, অতিদ্রুত বিষয়টির সমাধান করুন।’

ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের নেতা ধীষণ প্রদীপ চাকমা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভুক্তভোগী হয়। যারা ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে মেধার প্রমাণ দিয়েছে তাদেরকে অযোগ্য বলে উল্লেখ করছে। আইটি সেলের অস্পষ্টতার দায়ভার ছাত্ররা নিবে কেন! আমাদের প্রশ্ন তোলার মাধ্যমে যেন ভবিষ্যতে আর এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য উদ্যোগ নিতে হবে।’

মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখানে নিজের যোগ্যতায় মেধাতালিকায় স্থান পেয়েও কেন আমরা ভর্তি হতে পারবে না! অস্পষ্ট নীতিমালার দায় কেন শিক্ষার্থীরা নেবে। মানোন্নয়নকৃত শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে ডি ইউনিটের ফলাফল দেয়া হয়েছে। তারা এখন কীভাবে মানোন্নয়নকৃত শিক্ষার্থীদের বাদ দিল? এখানে শুধু একজন শিক্ষার্থী নয়, পুরো পরিবারের স্বপ্ন নষ্ট করে দিচ্ছে। তারা একটি বছর নষ্ট করেছেন শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন বলে।’

মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে একই দাবিতে একটি স্মারকলিপিও দেয়া হয়। অন্যদিকে বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সভায় বসেছে ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন