ইতিহাস গড়া হল না টাইগারদের। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচেও হারল টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে সমতায় ফেরার পর এটি ছিল সিরিজের অলিখিত ফাইনাল। আর এ খেলায় তরুণ নাইম শেখের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে আশা জাগলেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি কোন ব্যাটসম্যানই।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রেয়াস আয়ার ও লোকেশ রাহুলের ফিফটিতে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক ভারত।
এর আগে ভারতের নাগপুরে স্বাগতিকদের করা ১৭৪ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের পরপর দুই বলে ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। এরপর দারুণ এক পার্টনারশিপ গড়েন তরুণ নাইম শেখ ও মিঠুন। দুজন মিলে মাত্র ৬১ বলে যোগ করেন ৭৮ রান। যেখানে মূলত সঙ্গ দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন মিঠুন। কিন্তু ১৩তম ওভারের শেষ বলে ২৯ বলে ২৭ রান করে মিঠুন আউট হওয়ার পর বদলে যায় ম্যাচের ভাগ্য। ঠিক পরের বলেই অর্থ্যাৎ ১৪তম ওভারের শুরুর বলে রানের খাতা না খুলেই ফিরে যান মুশফিক।
ম্যাচের পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেটের পতনও হয় পরপর দুই বলে। মাহমুদউল্লাহ, আফিফ ফিরে গেলে বাকী পড়ে থাকে হারের আনুষ্ঠানিকতা। যা শেষ হয়েছে ৩০ রানের পরাজয়ে।
আর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আউটের মিছিলে রেকর্ড গড়ে ফেরেছেন দ্বিপক চাহার। তিনি ৭ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। এটা তার ক্যারিয়ার সেরাতো বটেই, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সেরা ফিগার এটা। আর এ জয়ের ফলে ভারত ধরে রাখলো তাদের ঘরের মাঠে চার বছর ধরে তিন ম্যাচের সিরিজে না হারার রেকর্ড।
ভারত : ১৭৪/৫ (২০ ওভার)
(রোহিত শর্মা ২, শিখর ধাওয়ান ১৯, লোকেশ রাহুল ৫২, শ্রেয়াস আয়ার ৬২, রিশাব পান্ত ৬, মনিশ পান্ডে ২২*, শিভব দুবে ৯*; আল-আমিন হোসেন ৪-০-২২-১, শফিউল ইসলাম ৪-১-৩২-২, মোস্তাফিজুর রহমান ৪-০-৪২-০, আমিনুল ইসলাম ৩-০-২৯-০, সৌম্য সরকার ৪-০-২৯-২, আফিফ হোসেন ১-০-২০-০)।
বাংলাদেশ : ১৯.২ ওভারে ১৪৪
(লিটন দাস ৯, নাঈম শেখ ৮১, সৌম্য সরকার ০, মোহাম্মদ মিথুন ২৭, মুশফিকুর রহিম ০, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৮, আফিফ হোসেন ০, আমিনুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম ৪, মোস্তাফিজুর রহমান; খলিল আহমেদ ৪-০-২৭-০, ওয়াশিংটন সুন্দর ৪-০-৩৪-০, দীপক চাহার ৩.২-০-৭-৬, যুজবেন্দ্র চাহাল ৪-০-৪৩-১, শিভম দুবে ৪-০-৩০-৩)।
ফল: ভারত ৩০ রানে জয়ী
ম্যাচ ও সিরিজ সেরা: দীপক চাহার
সিরিজ: ভারত ২-১ এ জয়ী