নাগপুরে আজ ‘ফাইনাল’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দিল্লিতে প্রথম টি২০ ম্যাচে রীতিমতো দাপুটে ক্রিকেট খেলে ভারতকে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছিল দলীয় নৈপুণ্যের ওপর ভর করে। যদিও দিল্লির সেই পারফরম্যান্স রাজকোটে ধরে রাখতে না পারায় সমতা ফিরিয়ে আনে ভারত। তিন ম্যাচ সিরিজে এখন সমতা --এ। আজ নাগপুরে শেষ ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছে অলিখিত ফাইনালে। ম্যাচে যারা জিতবে, শিরোপা উঠবে তাদেরই হাতে।

ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল তথা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ মানেই বাংলাদেশের জন্য আক্ষেপের গল্প। সেটি হোক নিদাহাস ট্রফিতে কিংবা এশিয়া কাপে। সুযোগ হাতছাড়া করার আক্ষেপই কেবল সঙ্গী হয়েছে। তাই ফাইনালে রূপ নেয়া আজকের ম্যাচে ইতিহাস বদলানোর আশায় মাঠে নামবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। জিততে হলে অবশ্য বাংলাদেশকে ফেরাতে হবে দিল্লির চেতনা। প্রথম ম্যাচে বল হাতে পেসাররা যে ভিত গড়ে দিয়েছিল, তার ওপর ভর করে স্পিনাররা চাপে রাখতে সক্ষম হয় ভারতকে। সব মিলিয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারতও ১৪৮ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি স্কোরবোর্ডে। পরে বোলারদের গড়ে দেয়া মঞ্চে ব্যাটসম্যানদের প্রদর্শনও ছিল দারুণ।

দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার লিটন দাস নাঈম মিলে বড় সংগ্রহের ভিতও গড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটিকে পরিণতি দিতে ব্যর্থ হন বাকিরা। এদিন কোনো ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি, যা বাংলাদেশের স্কোরকে ভারতের নাগালের মধ্যে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ম্যাচে ব্যর্থতার জন্য দিকটিকেই মূলত দায়ী করেন দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তিনি বলেন, টি২০-তে ৩৮টি ডট বল খারাপ না। ৪০-এর নিচে কোনো কিছু আমাদের জন্য বড় সমস্যা না। বড় সমস্যা হচ্ছে কারো ৭০-৮০ করতে না পারা। যেমনটা মুশি (মুশফিক) প্রথম ম্যাচে করেছিল। তাই কেউ যদি ৩০ রান করে, তার উচিত ইনিংস বড় করা।

কেবল ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস খেলাই নয়, সিরিজ জিততে হলে বোলারদেরও জ্বলে উঠতে হবে। ধারণা করা হচ্ছে, নাগপুরে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবেন। সেক্ষেত্রে আমিনুল-আফিফদের দিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে স্বাগতিকরা। বিশেষ করে ব্যাট হাতে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ছিলেন বেশ আগ্রাসী। শেষ ম্যাচেও নিজেদের পারফরম্যান্স ধরে রাখতে চাইবেন রোহিত।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন