শেষ পাতা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় শ্রমিক লীগের ১২তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইদানীং আমরা দেখছি, কোনো কথা নেই, বার্তা নেই কয়েকজন মিলে অহেতুক অভিযোগ করে। সেটা সত্য অভিযোগ, না মিথ্যা অভিযোগ—তার চিন্তাই করে না। আমাদের দেশের আইনে বলা আছে, কেউ যদি কারো বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা অভিযোগ আনে, আর সেটা যদি প্রমাণিত না হয়, তবে সেই অভিযোগকারীর ওই আইনে বিচার হয়। যারা কথা বলছে, তারা আইনগুলো ভালোভাবে দেখে নেবেন।

তিনি বলেন, স্ট্রাইক করে দিনের পর দিন কর্মঘণ্টা নষ্ট করবেন, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা ব্যাহত করবেন, এটা তো হয় না। অর্থ সরকার দেবে, সব রকম উন্নয়ন প্রকল্প সরকার করবে, সেটা নিতে খুব ভালো লাগবে আর সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না, এটা কখনো হতে পারে না।

আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন আমরা নাকি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বুঝি না। যারা কথা বলছেন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন, তারাই বোঝেন। কথায় বলে, ‘স্বাধীনতা ভালো, তবে তা বালকের জন্য নয়’—এটাও মাথায় রাখতে হবে। কাজেই আমি মনে করি এ ধরনের বালকসুলভ কথাবার্তা না বলাই ভালো। ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ছিলাম, পড়াশোনা করেই আসছি, এটাও তাদের ভুলে গেলে চলবে না।

শিক্ষার্থীদের উসকানি দেয়া এবং মুখরোচক কথা বলা মেনে নেয়া হবে না জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, উসকানি দিয়ে ছাত্রদের বিপথে নেয়া আর এখানে মুখরোচক কথা বলা, এটা কখনো কেউ মেনে নিতে পারে না। আর তা যদি করতে হয় তাহলে নিজেদের অর্থ নিজেরা জোগান। নিজেদের বেতন নিজেদের ব্যবস্থা করতে হবে। নিজেদের খরচ নিজেরা চালাবেন, সরকার সব টাকা বন্ধ করে দেবে।

বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা দুঃসংবাদ আছে, আমাদের বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় দেখা দিয়েছে। দোয়া করবেন ঝড়ে যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয়। ঝড় মোকাবেলা ও মানুষকে রক্ষা করার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি আমাদের আছে। এমনকি ঝড়-পরবর্তী ত্রাণ কার্যক্রম যাতে চালানো যায়, সে ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছি।

দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায়