অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায়

বণিক বার্তা ডেস্ক

অযোধ্যার বিতর্কিত স্থানটিতে রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দিয়েছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। রায় ঘোষণাকালে আদালত দেশটির সরকারের প্রতি মুসলমানদের অন্যত্র মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি দেয়ার আদেশ জারি করেন। দেশটির পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ গতকাল রায় দেন। খবর বিবিসি।

হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেরই বিশ্বাস, জায়গাটি ভগবান রামচন্দ্রের জন্মস্থান। অন্যদিকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নামাজ পড়ে আসা স্থানটি ছেড়ে দিতে নারাজ মুসলমানদের অনেকেই।

স্থানটিতে ষোড়শ শতকে নির্মিত বাবরি মসজিদ ১৯৯২ সালে গুঁড়িয়ে দেয় কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। এরপর ঘটনাসৃষ্ট সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় হাজার মানুষ।

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) এক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, গুঁড়িয়ে দেয়া বাবরি মসজিদ স্থাপনার নিচে এমন কিছু স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, যা ইসলামী নয় উপস্থাপিত প্রমাণাদি বিবেচনা সাপেক্ষে বলা যায়, বিতর্কিত জমিটি হিন্দুদের রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দেয়া উচিত। অন্যদিকে মুসলিমদের অন্যত্র মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি দেয়া যায়।

রায়ে মন্দির নির্মাণ ব্যবস্থাপনা তদারকির জন্য একটি ট্রাস্ট গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি একটি নির্দেশনা দেয়া হয়।

অন্যদিকে বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনাটিও সম্পূর্ণ বেআইনি ছিল বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

রায় সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে রাম মন্দির নির্মাণের দাবি জানানো পক্ষের এক আইনজীবী বলেন, এটি অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ একটি রায়। এতে ভারতের জনগণেরই জয় হয়েছে।

অন্যদিকে মুসলিম পক্ষের এক প্রতিনিধি প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নন এবং পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ার পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, এর রিভিউ আবেদন করা হবে কিনা। তবে পরে রায়ের বিপক্ষে আপিল করা হবে না বলে মুসলিম পক্ষে আইনি লড়াই চালানো শীর্ষস্থানীয় গ্রুপটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

আদালতের বাইরে পরিস্থিতি বেশ শান্ত ছিল। শুক্রবার থেকেই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কা থেকে প্রায় কয়েকশ মানুষকে আটক করা হয়। এছাড়া বর্তমানে শহরটিতে কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া দোকানপাট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সোমবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বাবরি মসজিদ ভাঙার ছবি প্রকাশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এদিকে প্রসঙ্গে এক টুইট বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ঘটনাটিকে কারো জন্য জয়

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন