শেয়ারবাজার

চাকরি বা ব্যবসা থেকে অবসর গ্রহণের পর বেশির ভাগ মানুষই চুপসে যান। শেষ বয়সে ঝুঁকি নেয়ার বা নতুন কিছু করার মানসিকতা অনেকেরই থাকে না। এ ধরনের অনেক ধ্যান-ধারণাকেই নিমিষে ভেঙে দিতে পারে ৭৭ বছর বয়সী বিনিয়োগকারী পল গ্ল্যানডর্ফের গল্প। অবসরপ্রাপ্ত এ ব্যবসায়ীর পুঁজিবাজারে আগমন এবং সফলতা যে কাউকে নতুন উদ্দীপনা জোগাতে পারে।

পল গ্ল্যানডর্ফ ছিলেন একজন নির্মাণ ব্যবসায়ী। ওহাইয়োর সিনসিনাটিতে ছিল তার ব্যবসা। পেশাগতভাবে তিনি ছিলেন একজন পাইপফিটার। পুঁজিবাজার নিয়ে ভাবা তো দূরের কথা, নিজের কাজ বা ব্যবসার বাইরে কোনো কিছু ভাবার সুযোগ তার কখনই হতো না। ব্যবসা থেকে অবসর নেয়ার কিছুদিন আগে থেকে তার মনে হতে লাগল অন্য অনেক প্রফেশনালের চেয়ে অর্থব্যবস্থাপনায় তিনি বেশি দক্ষ। এখান থেকে তার মনে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সম্পর্কে আগ্রহ জন্ম নেয়। ধীরে ধীরে এ সম্পর্কে জানা শুরু করেন তিনি।

জানা শুরু করলেও বিনিয়োগ করার মতো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারছিলেন না গ্ল্যানডর্ফ। এরই মধ্যে হঠাত্ একটি বিনিয়োগ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান তিনি। প্রতিযোগিতার নিয়ম ছিল প্রত্যেক বিনিয়োগকারীকে পাঁচটি করে শেয়ার কিনতে হবে এবং এক বছর শেয়ারগুলো ধরে রাখতে হবে। গ্ল্যানডর্ফ তখন যে শেয়ারগুলো কিনেছিলেন সেগুলো ছিল—লিংকডইন, থ্রিডি সিস্টেমস, ফিডেল্টি ন্যাশন, ভ্যালিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস ও লুলুলেমন। বছর শেষে এ পোর্টফোলিও থেকে ৭১ শতাংশ রিটার্ন আসে এবং প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন গ্ল্যানডর্ফ। এর মধ্য দিয়েই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন তিনি।

বয়স ৬০ পার হওয়ার পরপর একটি স্টক ক্লাব চালু করেন গ্ল্যানডর্ফ। সিনসিন্নাটিতে অবস্থিত গ্ল্যানডর্ফের পাইপফাইটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ ক্লাবের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম বৈঠকে হাজির হয় মাত্র ১৫ জন বিনিয়োগকারী, যাদের সবার বয়স ছিল ষাটের বেশি। এ ক্লাবটির নাম এখন সাইকামোর সিনিয়র সেন্টার। মূলত জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের বিনিয়োগ বিষয়ে উত্সাহ জোগানোই এ ক্লাবের মূল উদ্দেশ্য।

একসময় গ্ল্যানডর্ফের বিনিয়োগ কৌশল সঠিকভাবে কাজ করতে শুরু করে এবং নিয়মিতভাবে তার বিনিয়োগ থেকে ভালো রিটার্ন আসা শুরু হয়। তিনি সাধারণত একটি শেয়ারে ১০ হাজার ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেন না। তার পোর্টফোলিওতে শেয়ার থাকে ৭৫ থেকে ৮০টি। সেই হিসেবে পুঁজিবাজারে তার বিনিয়োগ সবসময় ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার থেকে ৮ লাখ ডলারের মধ্যেই থাকে।

নিজের বিনিয়োগ কৌশলের বিষয়ে গ্ল্যানডর্ফ বলেন, আমি যখন বিনিয়োগ করি, তখন মূলত একটি শেয়ারের ফান্ডামেন্টাল ও টেকনিক্যাল বিষয়গুলোকে বিবেচনা করি। অনেক সময় আমি জানিই না কোম্পানির নাম কী। আমি শুধু কোম্পানিগুলোর সংক্ষিপ্ত নাম জানি।

শেয়ার কেনার পর গ্ল্যানডর্ফ কিছুদিন এটি হাতে রাখেন এবং প্রতিদিন এর