ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব পড়েছে দেশের সর্বত্র, বাদ যায়নি খেলার মাঠও। জাতীয় ক্রিকেট লিগে চার ম্যাচের মধ্যে দুটিতে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। বাকি দুটির মধ্যে একটিতে ৭৬ ওভার খেলা হয়েছে, অন্যটিতে অনুষ্ঠিত হয় ৪১ ওভারের খেলা। ঘূর্ণিঝড়-বিঘ্নিত এ দিনে সেঞ্চুরি করে সিলেটের বিপক্ষে ঢাকা মেট্রোকে টানেন শামসুর রহমান শুভ। তার ১১৪ রানের ইনিংসে ভর দিয়ে মেট্রো ৭ উইকেটে তোলে ২৮২ রান।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে দলীয় ১৭ রানেই ওপেনার আজমির আহমেদকে হারায় মেট্রো। তিনে নামা শামসুর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রাকিন আহমেদকে (৪৮) নিয়ে যোগ করেন ৯৮ রান। রাকিনের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামা মার্শাল আইয়ুব মাত্র এক রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। চতুর্থ উইকেটে আল-আমিনকে নিয়ে ১২৬ রানের আরেকটি সফল পার্টনারশিপ গড়ে দলের রান ২৫০ পার করেন শামসুর। আল-আমিন ৬৯ রান করেন ৮৫ বলের মোকাবেলায়। এ পথে ১৮০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন শামসুরও। যদিও ১০ রানের ব্যবধানে দুজন বিদায় নেন, মাঝে শূন্য রানে ফেরেন জাবিদ হোসেনও (২৬০/৬)। দিনের শেষ ওভারে সপ্তম উইকেট হিসেবে শহীদুল ইসলামকে হারায় মেট্রো।
শামসুরের দিন বল হাতে আলো ছড়ান সিলেটের পেসার রেজাউর রহমান (৪/৪৯) ও স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র (৩/৬৯)।
বরিশালে দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে স্বাগতিক বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের খেলা শুরুই হতে পারেনি। ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরে খুলনা-রাজশাহী ম্যাচেও টস করা সম্ভব হয়নি। বগুড়ায় প্রথম স্তরের অন্য ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ১১০ রান করে রংপুর বিভাগ। সোহরাওয়ার্দী শুভ সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন। নাসির হোসেন ৫ ও তানবির হায়দার ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। দুটি করে উইকেট নেন শাহাদাত হোসেন ও সালাউদ্দিন সাকিল।