লিভারপুলের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের অপেক্ষা শেষ হতে পারত গত মৌসুমেই। কিন্তু দুরন্ত ম্যানচেস্টার সিটির কাছে একটি হারই এলোমেলো করে দেয় সবকিছু। পুরো লিগে ইতিহাদের সেই ম্যাচটিতেই কেবল হেরেছিল লিভারপুল। যে হারটি লিভারপুলের সামনে তুলে দিয়েছিল বাধার দেয়াল। শেষ পর্যন্ত যা আর ভাঙতে পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লোপের দল। এক পয়েন্টের ব্যবধানে সিটির কাছে হাতছাড়া হয়ে যায় শিরোপা। সে হারের প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ এবার লিভারপুলের সামনে। অবশ্য মৌসুমে দুই দলের প্রথম দ্বৈরথটি অনুষ্ঠিত হবে লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে। এ ম্যাচে জিতলে শিরোপা দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে ‘অল রেড’রা। অন্যদিকে সিটির লক্ষ্য থাকবে শীর্ষে থাকা লিভারপুলকে মাটিতে নামিয়ে পয়েন্টের ব্যবধানটা আরেকটু কমিয়ে আনার।
গত মৌসুমে লিগ শিরোপা জিততে না পারলেও লিভারপুল ঘরে তুলেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি। তাই এবার দীর্ঘদিন না জেতা প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাটিকেই পাখির চোখ করেছে তারা। মৌসুমের শুরু থেকেই ঘরোয়া লিগে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে লিভারপুল। তবে ম্যাচ যখন ঘরের মাঠে, তখন লিভারপুল যেন আরো বেশি অদম্য। প্রিমিয়ার লিগে অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের বিপক্ষে সর্বশেষ ১৬ ম্যাচে জিততে পারেনি সিটি। এমনকি সর্বশেষ ৪৫ ম্যাচে কোনো দল লিভারপুলকে তাদের মাঠে হারাতে পারেনি। এখন দাপুটে লিভারপুলকে তাদের মাঠে হারাতে পারলে আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে বেশ বড় ধাক্কা দিতে পারবে সিটি। কিন্তু লিভারপুলকে থামানোর কাজটা খুব একটা সহজ হবে না। চলতি মৌসুমে নিজেদের দুরন্ত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ভাগ্যকেও পাশে পাচ্ছে তারা। বেশ কয়েকটি ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল আদায় করে ম্যাচ বের করে এনেছে। এছাড়া লিভারপুলের জন্য সুখবর, তারা সিটির বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দলকেই পাচ্ছে। যেখানে আক্রমণ ভাগে দলটির সবচেয়ে বড় তিন ভরসা মোহাম্মদ সালাহ, সাদিও মানে ও রবার্তো ফিরমিনো। এছাড়া নেবি কেইতার ফিরে আসাও লিভারপুলের মিডফিল্ডে বাড়তি শক্তি জোগাচ্ছে। ডিফেন্সে ভার্জিল ফন ডাইক ও গোলবারের নিচে অ্যালিসন তো সময়ের অন্যতম সেরা। সব মিলিয়ে জিততে হলে লিভারপুল আক্রমণ ভাগের তীর সামলানোর পাশাপাশি তাদের দুরন্ত ডিফেন্স দেয়ালও ভাঙার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে সিটিকে। অবশ্য সিটির বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বেশ সতর্ক কণ্ঠই শোনা গেল ক্লোপের, ‘খেলার দিক থেকে এ দ্বৈরথ ক্রমেই আরো বড় হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, এর মানে দল হিসেবে আমরা ভালো করছি। আপনি