ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, খুলনাসহ কয়েকটি জেলায় ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘোষণার পর থেকে জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলার গ্রামে গ্রামে মাইকিং করছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজন। এর পাশাপাশি বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৬টি ইউনিট বিভিন্ন এলাকায় লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছেন। পুলিশও রয়েছে সতর্ক অবস্থায়। ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জানার পর সামান্য কিছু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছে। বেশিরভাগই অপেক্ষা করছেন চরম পর্যায়ের জন্য। এছাড়া বুলবুলের খবরে সাগরে থাকা মাছধরা ট্রলার ও নৌকা তীরে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। তবে এখনও নদীতে এখনও অনেক নৌকা ও ট্রলারকে মাছ ধরতে দেখা গেছে।
এদিকে বুলবুল‘র মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
শনিবার সকালে বাগেরহাট দড়াটানা নদী সংলগ্ন দড়াটানা নদীতে দেখা যায় প্রায় দুই শতাধিক মাছ ধরা ট্রলার সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছে। ট্রলারে থাকা জেলেরা জানিয়েছেন, বুলবুলের খবর পেয়ে তরিঘরি করে চলে এসেছেন তারা। ফিরে আসা এক জেলে বলেন, ‘সাগরে প্রচুর মাছ ছিল। তারপরও প্রাণ বাঁচাতে চলে এসেছি। তবে এখনও অনেক জেলে সাগরে রয়েছে। আসলে গভীর সাগর থেকে ইচ্ছে করলেই চলে আসা যায় না। আসতে অনেক সময় লাগে বলে জানান তারা।