স্থপতির ভুয়া স্বাক্ষরে অনুমোদন পাচ্ছে ভবনের নকশা

জেসমিন মলি

যেকোনো ভবনের নির্মাণকাজ করতে হয় কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি তথা স্থপতি নির্মাণ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে। নির্মাণ বিধিমালায় এমন বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানছেন না ভবনের মালিকরা। ব্যয় কমাতে স্থপতির স্বাক্ষর জাল করে ভবনের নকশা অনুমোদন করিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই। আর কাজে তাদের সহায়তা করছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কিছু অসাধু কর্মচারী।

একজন স্থপতির নাম, স্বাক্ষর সনদ জালিয়াতি করে ভবনের নকশার আবেদন করার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে রাজউক। আটক ওই ব্যক্তি নিজেকে স্থপতি মইদুল ইসলাম হিসেবে দাবি করেছিলেন। তবে তার প্রকৃত নাম-পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ব্যাপারে রাজউকের পক্ষ থেকে উত্তরা (পূর্ব) থানায় একটি মামলাও করা হয়েছে।

বর্তমানে রাজউকে নকশা অনুমোদনের কাজটি অনলাইনে করা হয়। প্রক্রিয়া চালুর পর থেকে রাজউকে কোনো নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন জমা পড়লে আবেদনকারী স্থপতিকে এসএমএস করে তা জানিয়ে দেয়া হয়। গত মাসের শুরুতে একটি নকশা জমা পড়ার এসএমএস পান স্থপতি মইদুল ইসলাম। এসএমএস পাওয়ার পর তিনি রাজউকে অভিযোগ করেন, ওই নকশা তিনি করেননি। এরপর তদন্তে নেমে রাজউক প্রমাণ পায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থপতি মইদুল ইসলামের নাম, স্বাক্ষর ফোন নম্বর জালিয়াতি করে নকশার জন্য আবেদন করেছিলেন।

স্থপতি মইদুল ইসলামের স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়লেও অনেক জালিয়াতিই অধরা থেকে যাচ্ছে। জালিয়াতি করে নকশা অনুমোদনের এসব ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাদের নাম-পদবি ব্যবহার করা হচ্ছে, তারা তা জানেনই না। আবার কোনো কোনো স্থপতি ভবনের নকশা তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না থেকেও টাকার বিনিময়ে নিজেদের নাম ব্যবহারের অনুমতি দেন, এমন অভিযোগও আছে।

স্থপতি নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয় চারটি পর্যায়েপ্রস্তাবনা, অনুমোদন, সে অনুযায়ী চুক্তি নির্মাণকাজে পর্যবেক্ষক নিয়োগ। নির্মাণকাজের মোট ব্যয়ের নির্দিষ্ট একটি অংশ দেয়া হয় পর্যবেক্ষককে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক বাবদ অর্থ ব্যয়ে আগ্রহী নন নির্মাতারা। কারণেই স্থপতিদের এড়িয়ে চলেন তারা। আবার ভবনের নকশা অনুমোদন করতে সরকারের বেশ কয়েকটি সংস্থার অনুমোদন নিতে হয়। সেই সব সংস্থার মধ্যেও সমন্বয় নেই। এছাড়া এসব স্থানে কর্মরতদের বদলিও করা হয় বেশ দ্রুত। ফলে ভবনের নকশা অনুমোদনে ভোগান্তি এড়াতে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন