নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

বিক্ষোভ, পটচিত্রাংকনে দুর্নীতির প্রতিবাদ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি জাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে সভা-সমাবেশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৈরী আবহাওয়া, আবাসন সমস্যাসহ সব ধরনের প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে চলছে আন্দোলন।

গতকাল বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর ১২টায় সেখানে ৬০ গজ দীর্ঘ কাপড়ের ব্যানারে প্রতিবাদী উক্তি ব্যঙ্গাত্মক পটচিত্র অংকন শুরু করা হয়। চিত্রাংকন শেষে বিকাল সাড়ে ৪টায় ওই ব্যানার নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা।

ধরনের আয়োজনের উদ্দেশ্য কী জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক বণিক বার্তাকে বলেন, পটচিত্রের মাধ্যমে আমরা অন্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসব পটচিত্রে উপাচার্যের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাসহ সব অনিয়ম তুলে ধরা হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রামেরই অংশ এটি।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জাবি উপাচার্যের দুর্নীতির প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন আন্দোলনকারীরা। তারা দুর্নীতির এসব তথ্য-উপাত্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসিতে সরবরাহ করবেন বলে জানান।

বিষয়ে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসির কাছে তথ্যপ্রমাণ জমা দেয়া হবে। আমাদের কাছে যে প্রমাণগুলো আছে, তাতে করে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আর কোনোভাবেই তার পদে থাকতে পারেন না।

আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম পাপ্পু বলেন, উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রমাণ চেয়েছেন, আমাদের কাছে যতটুকু প্রমাণ আছে, আমরা তা পাঠাব। আমরা মনে করি আমাদের কাছে যে তথ্য-উপাত্ত আছে, তা উপাচার্যের দুর্নীতি প্রমাণে যথেষ্ট।

উল্লেখ্য, জাবি উপাচার্যের দুর্নীতির অভিযোগে তার পদত্যাগ দাবিতে গত দুই মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। নভেম্বর এক বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে ক্যাম্পাসে সব মিছিল, সমাবেশ নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল, খাবার দোকান আশপাশের দোকান বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন