আগের ম্যাচে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারলেও স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে চলতি টি২০ সিরিজ জয়ের সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি বাংলাদেশের। এর জন্য আগামীকাল নাগপুরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি জিততে হবে টাইগারদের। সিরিজ ফয়সালার ম্যাচের আগে বাংলাদেশ শিবিরের জন্য দুর্ভাবনা হয়ে দেখা দিয়েছে স্লগ ওভার। হাতে উইকেট থাকার পরও শেষ দিকে ঝড় তুলতে পারছেন না সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। আবার ডেথ ওভারে বোলিংয়ের সময়ও বিপক্ষ দলের হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানদের সামনে অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের বোলারদের শরীরী ভাষায়।
দিল্লিতে জেতায় রাজকোটেই সুযোগ ছিল সিরিজ জয়ের। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল সফরকারীরা। মাত্র ৫.৪ ওভারেই পঞ্চাশের নাগাল পেয়ে গেল বাংলাদেশ। লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম উদ্বোধনী জুটিতে ৭.২ ওভারে যোগ করলেন ৬০ রান। এ অবস্থায় দলের রান দুশোর নাগাল পেয়ে যাবে, এমনটাই ভাবছিলেন অনেকে। অথচ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশকে। হাতে চার-চারটি উইকেট থাকার পরও শেষ তিন ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা পড়েছে মোটে ১৭ রান। বলাবাহুল্য রাজকোটের উইকেট ছিল পুরোপুরি ব্যাটসম্যানদের প্রাণ মন সঁপা। টি২০ খেলার ধরন অনুযায়ী হাতে উইকেট থাকলে শেষ ৩ ওভারে ৪০-৪৫ রান যোগ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু স্লগ ওভারে আগ্রাসী ব্যাটিং যেন ভুলে গেলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
ম্যাচ শেষে স্কোরবোর্ডে ২৫-৩০ রান কম থাকার আক্ষেপ ঝরেছে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কণ্ঠে। ম্যাচ শেষে বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট খুবই ভালো ছিল। আমাদের স্কোর বোর্ডে ২৫-৩০ রান কম ছিল। আমাদের ওপেনাররা খুব ভালো শুরু করেছিল। এটা ১৮০+ উইকেট ছিল।’ সেট হওয়া ব্যাটসম্যানদের ইনিংস টানতে না পারাটাকেও সামনে এনেছেন মাহমুদউল্লাহ। বলেছেন, ‘এ ধরনের উইকেটে একজন সেট ব্যাটসম্যানের ইনিংস টেনে নেয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় ইনিংসে দেখেন রোহিত নিজের ইনিংসটিকে টেনে নিয়ে গেছেন। আমাদের টপ অর্ডার থেকে যদি এমন একটা ইনিংস আসত, তাহলে আমাদের সুযোগ আরো বেশি আসত।’ রাজকোটে বাংলাদেশ ইনিংসে কোনো ফিফটি আসেনি। ত্রিশের ইনিংসটি তিনটি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার সময় ম্যাচের বাকি ছিল ৯ বল। ওই নয় বলে মাত্র ১১ রান যোগ হয়েছে বাংলাদেশ ইনিংসে। ২১ বলে ৩০ রান করেছেন