বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। গতকাল বণিক বার্তায় প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী এক হাজার মানুষের জন্য নিবন্ধিত চিকিৎসক থাকার কথা একজন, আর আমাদের প্রতি ১ হাজার ৮৭১ জনের বিপরীতে আছেন একজন। একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকার নিয়ম থাকলেও আছে প্রতি দুজন চিকিৎসকের বিপরীতে একজন। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ও রোগীর অনুপাতেও পিছিয়ে আমরা। বৈশ্বিক প্রায় সব মানদণ্ডে পিছিয়ে আমাদের স্বাস্থ্য খাত। আর্থিক বাধা সবচেয়ে বড় আমাদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য। যদিও আমরা জানি, মাথাপিছু ২৭ ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে, তবুও ৬৪ শতাংশ টাকা আসে মানুষের পকেট থেকে। আমাদের দেশকে সংক্রামক ব্যাধি পিছিয়ে দিচ্ছে এবং অসংক্রামক ব্যাধিগুলো খুব দ্রুত চলে আসছে। সন্দেহ নেই, আমাদের দেশের সরকার সবার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখছে। সরকার এরই মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবার রোডম্যাপ করে ফেলেছে। সরকারের একটি রোডম্যাপ থাকলেও এনজিও, প্রশাসনিক গবেষণা ও উপদেষ্টা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। কানাডার মডেলের মতো নার্সরা চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকলে ভালো হতো। এ দেশে নার্সিং শিক্ষা সমাপ্ত করেও নার্স কেবল যন্ত্রচালিতের মতো কাজ করেন। স্বল্পসংখ্যক নার্সের পক্ষে অধিক মানুষের সেবা দেয়া সম্ভব নয়।
ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ বা বৈশ্বিক স্বাস্থ্যসেবা হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক নির্ধারিত সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার অঙ্গীকার ও পরিকল্পনা। সংজ্ঞায় বলা আছে, এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ তার প্রয়োজনীয় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা বহনযোগ্য ও যৌক্তিক খরচে পেতে পারবে। এজন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই বর্তমানে ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের আওতায় যার যার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। অবকাঠামো ও জনশক্তির মধ্যে ভারসাম্যহীনতা একটা বড় সমস্যা। উপজেলায় ১৫০ শয্যার হাসপাতাল করা হলেও জনশক্তি ৫০ শয্যার রয়ে গেছে। অর্থাৎ অবকাঠামো বাড়ানো হলেও জনশক্তি বাড়ানো হয়নি। এতে আমরা দেখাতে পারছি হাসপাতাল হয়েছে কিন্তু সেখানে সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। আবার এমনও দেখা যাচ্ছে, হয়তো কোনো হাসপাতালে অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন কিন্তু নার্স নেই। সাপোর্ট ফোর্স নেই। এটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের অন্যতম দুর্বলতা। আমাদের শহরগুলোয় স্বাস্থ্য অবকাঠামো তুলনামূলকভাবে অনুপস্থিত। আমাদের রেফারেল সিস্টেম কাজ করছে না।
স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে অতি মুনাফাভিত্তিক বাণিজ্যিকীকরণ হচ্ছে। এর কারণে মানের
- আমদানির সিদ্ধান্তে চালের বাজারে স্বস্তি ফিরবে কি
- শুধু আইন দিয়ে এআইয়ের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে!
- অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষত তৈরি করতে পারে
- কর্মসংস্থান, শিক্ষার মান ও উন্নয়ন কৌশল: আগামী বাজেট ঘিরে প্রত্যাশা
- ফিনল্যান্ড-সুইডেনের ন্যাটোয় প্রবেশ রাশিয়ার নতুন নিরাপত্তা সংকট
- জীবনযাপন ব্যয় হ্রাস ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে উদ্যোগ কাম্য