বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের দাম পাঁচ মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, অক্টোবরে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। আর বছর হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৬ শতাংশ। বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের বাজার নিয়ে ‘এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স (এফএফপিআই)’ শীর্ষক মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
খাদ্যশস্য, তেলবীজ, দুগ্ধপণ্য, মাংস ও চিনির বাজারমূল্য নির্ধারণ করে মোট ১৭২ দশমিক ৭ পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে অক্টোবরের এ মূল্যসূচক প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এ মাসে চিনি ও খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধির ফলে মোট খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে বলে সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এফএওর মূল্যসূচক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চিনির সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে অন্যতম চিনি উৎপাদক দেশ থাইল্যান্ড ও ভারতের চিনির উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাওয়ার প্রাক্কলনে সরবরাহ সংকটে এ আশঙ্কা তৈরি হয়। আর এতেই চাঙ্গা হয়ে ওঠে খাদ্যপণ্যটির বৈশ্বিক বাজার। সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে খাদ্যপণ্যটির মূল্যসূচক বেড়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ, যা মোট খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।
এদিকে চিনির পাশাপাশি খাদশস্যের দামও বেশ বেড়েছে। বিশেষ করে গম ও ভুট্টার দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। খাদ্যশস্য দুটির প্রধান উৎপাদক দেশগুলোয় এবার ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কায় চাঙ্গা হয়ে ওঠে ব্যবসা। ফলে খাদ্যশস্য দুটির রফতানি মূল্য বেড়ে গেছে। তবে এর বিপরীতে চালের দাম কমেছে। একদিকে চাহিদার নিম্নমুখিতা, অন্যদিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বাসমতি চাল উৎপাদনের সম্ভাবনায় খাদ্যপণ্যটির বাজার নিম্নমুখী হতে বাধ্য করেছে।
অন্যদিকে ভোজ্যতেলের বাজারে অক্টোবরে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাঙ্গা ভাব বজায় ছিল। এ সময় ভোজ্যতেলের মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ। এ সময় ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বায়োডিজেল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা এবং পাম অয়েলের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোজ্যতেলটির দাম বেড়েছে। তবে কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের দেশগুলোয় এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় এ সময় সূর্যমুখী তেলের বাজার ছিল নিম্নমুখী।
অন্যদিকে চীনের বাজারে মাংসের চাহিদা বাড়ায় এ মাসে পণ্যটির বাজারও বেশ চাঙ্গা ছিল। অক্টোবরে খাদ্যপণ্যটির মূল্যসূচক বেড়েছে দশমিক ৯ শতাংশ। এর বিপরীতে এ সময় কমেছে দুগ্ধপণ্যের দাম। গুঁড়ো দুধ ও পাস্তুরিত দুধের চাহিদা বাড়লেও এ সময় পনিরের চাহিদা কমে যাওয়ায় দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূ
