মালয়েশিয়া পাম অয়েলে সুদিন পার করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলটির চাহিদায় চাঙ্গা ভাব বজায় রয়েছে। ফলে দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি রয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। তবে রফতানি বৃদ্ধি সত্ত্বেও চলতি বছরের অক্টোবরে দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ বেড়ে সাত মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। মূলত এ সময়ে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন বেড়ে বছরের শীর্ষে পৌঁছেছে, যার প্রভাব পড়েছে মজুদে। খবর রয়টার্স ও কমোডিটি অনলাইন।
মালয়েশিয়ার কয়েকজন পাম অয়েল আবাদকারী, খাতসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিশ্লেষকদের দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, অক্টোবরে দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ২০ হাজার টন, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চে।
অক্টোবরে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯০ হাজার টন, যা আগের মাসের তুলনায় ১৩ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। মূলত চীনের বাজারে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যটির সামগ্রিক রফতানি বেড়েছে।
তবে এ সময়ে দেশটির অন্যতম পাম অয়েল ক্রেতা ও বিশ্বের শীর্ষ ভোজ্যতেল ভোক্তা দেশ ভারতে পণ্যটির রফতানি কমেছে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তার জাতিসংঘের ভাষণে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবস্থান নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। এর পর ভারতের আমদানিকারকরা মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বয়কট করতে শুরু করেন।
এদিকে অক্টোবরে দেশটিতে ১৮ লাখ ৮০ হাজার টন পাম অয়েল উৎপাদন হয়েছে, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় ২ শতাংশ ও চলতি বছরের যেকোনো মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল বোর্ড এখনো চূড়ান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। চলতি মাসের ১১ তারিখে প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে সংস্থাটির।