রাজস্বের দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি কোম্পানি সৌদি আরামকোর আইপিওতে সম্মিলিতভাবে ৫০০ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। খবর ব্লুমবার্গ।
বিষয়সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি কোম্পানিটির রেকর্ড শেয়ার বিক্রির লক্ষ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সরকারগুলোর কাছ থেকে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার চেষ্টা করছে সৌদি আরব।
যেসব প্রতিষ্ঠান সৌদি আরামকোর আইপিও কেনার আলোচনায় রয়েছে, বেইজিংভিত্তিক সিল্ক রোড ফাউন্ডেশন তার একটি। এছাড়া আরো কয়েকটি চীনা তহবিল বা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানও এতে যুক্ত হতে পারে।
এদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশের রাজনৈতিক শক্তি বাড়াতে এবং ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ উদ্যোগের আওতায় প্রাচীন বাণিজ্য পথগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছেন। ফলে আরামকোয় বিনিয়োগ চীনকে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার পাশাপাশি তেলের ক্রমবর্ধমান দাম থেকে লাভবান হওয়ারও সুযোগ করে দেবে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল উৎপাদক সিনোপেক গ্রুপ ও সার্বভৌম সম্পদ তহবিল চীনা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনও (সিআইসি) আরামকোর আইপিওতে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরো জানান, বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের তালিকা ও প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান কী পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করবে তা আসলে চীন সরকারের ওপরই নির্ভর করবে।
৪ হাজার কোটি ডলার প্রাথমিক মূলধন নিয়ে ২০১৪ সালে সিল্ক রোড ফান্ড গঠন করা হয়। পরবর্তীতে এতে আরো ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার যুক্ত করা হয়।
আরামকোর বাজারমূল্য নির্ধারণের পর পশ্চিমা মানি ম্যানেজাররা পিছু হটায় চীনের বৃহৎ বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি শেয়ার বিক্রি সফল করতে জ্বালানি কোম্পানিটিকে সহায়তা করবে। ব্লুমবার্গ জানায়, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটির বাজারমূল্য ২ ট্রিলিয়ন ডলার বলে জোর দিয়ে আসছেন। তবে শেষ পর্যন্ত বাজারমূল্য ১ দশমিক ৬ থেকে ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের মধ্যে নির্ধারিত হতে পারে, এমন প্রস্তুতিও তার রয়েছে।
চীনা বিনিয়োগ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আরামকো। এছাড়া সিল্ক রোড ফাউন্ডেশন, সিআইসিসহ সিনপেক গ্রুপ এবং এর প্রধান তালিকাভুক্ত ইউনিটের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বৃহৎ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর তদারকির দায়িত্বে থাকা চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত অ্যাসেট সুপারভিশন অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিশন ও দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।