প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও সুনিদিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে সম্ভাবনাময় লালমনিরহাট বিসিক শিল্পনগরী দুই যুগেও আশার আলো জ্বালাতে পারেনি। উদ্যোক্তাদের অনীহা, আর্থিক ও লোকবল সংকটের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এটিকে করতে পারেনি শিল্প ও কর্মসংস্থানবান্ধব।
জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলা শহরের সন্নিকটে আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের খাতাপাড়া এলাকায় ১৯৮৭ সালে ১৫ দশমিক ৬০ একর জমি অধিগ্রহণ করে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৯৯২ সালে লালমনিরহাট বিসিক শিল্পনগরী প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ হয়। এরপর ১৯৯৪ সালের ১ মার্চ একটি কাঠের তৈরি আসবাবপত্রের কারখানা উদ্বোধনের মাধ্যমে এ শিল্পনগরীর যাত্রা হয়।
১৯৯২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৭ বছরে ৯ দশমিক ৮৪ একর জমির ওপর ২৬টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে মোট ১০৭টির মধ্যে ৮৮টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। বিসিক কর্তৃপক্ষ মোট ২৬টি মধ্যে ১৩টি চালু রয়েছে দাবি করলেও বাস্তবে সাত-আটটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালু দেখা গেছে। পাঁচটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। চারটি রুগ্ণ অবস্থায় আছে। অন্য চারটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য লে-আউট প্ল্যান অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, লালমনিরহাট বিসিক শিল্পনগরীতে ছয়-সাতটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে শ্রমিকরা প্লাস্টিক পণ্য, পুরনো টিন প্রক্রিয়াকরণ, কাঠের আসবাব, বেকারি কারখানায় বিস্কুট-পাউরুটি, সেমাই-চানাচুর, আইসক্রিম তৈরির কাজ করছেন। এছাড়া একটি হিমাগারে আলু ও একটি কারখানায় তামাক প্রস্তুতের কাজ করছেন কিছু শ্রমিক। তবে এসব পণ্যের মধ্যে টেকসই ও বাজারমুখী মানসম্পন্ন পণ্যসামগ্রীর তেমন উৎপাদন নেই। কোল্ড স্টোরেজে আলু, মদিনা বেকারির উৎপাদিত বিস্কুট আর আব্দুস সালাম এন্টারপ্রাইজের উৎপাদিত কাঠের আসবাবপত্রই কেবল বাজারে রয়েছে।
মেসার্স আব্দুস সালাম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সালাম বকুল বলেন, প্লট বরাদ্দ নিলেও এখন পর্যন্ত অনেক প্রতিষ্ঠান উৎপাদনে যেতে পারেনি। আর্থিক সংকট ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও রুগ্ণ হয়ে পড়েছে। লালমনিরহাট জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান তেমন গড়ে ওঠেনি। ফলে ব্যাপক সম্ভাবনার এ বিসিক শিল্পনগরী কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি কর্মকর্তাদের যেমন উদ্যোগী হতে হবে, তেমনি উদ্যোক্তা তৈরিতে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছেন তিনি।
জানতে চাইলে লালমনিরহাট বিসিক শিল্পনগরীর উপব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) আবু হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, সম্ভাবনাময় এ বিসিক শিল্পনগরীটি জনবলসহ নানা সংকটে আছে। শিগগিরই এ অবস্থা কেটে। অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান পণ্য<
