স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজনের তুলনায় এখনো অপ্রতুল

সুমন আফসার

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড অনুযায়ী, প্রতি এক হাজার মানুষের জন্য নিবন্ধিত চিকিৎসক থাকার কথা একজন। অথচ বাংলাদেশে প্রতি হাজার ৮৭১ জন মানুষের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন একজন। প্রশ্ন আছে চিকিৎসকের মান নিয়েও। এছাড়া প্রতি একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকার নিয়ম রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি দুজন চিকিৎসকের বিপরীতে নার্স আছেন একজন। সংকট আছে রোগী অনুপাতে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যারও। বৈশ্বিক মানদণ্ডে পিছিয়ে থাকলেও দ্রুত বড় হচ্ছে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত।

ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতের আকার ছিল ৩২০ কোটি ডলারের। ওই সময় থেকে খাতে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত খাতটিতে বার্ষিক যৌগিক প্রবৃদ্ধির হার (সিএজিআর) দশমিক ১৩ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির ধারা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ শুধু স্বাস্থ্যসেবা খাতের আকার ৯০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

ওষুধ শিল্প মেডিকেল ট্যুরিজমকে বাইরে রেখেই হিসাব প্রাক্কলন করা হয়েছে। গবেষণার তথ্য বলছে, ৬০ শতাংশের বেশি পরিবার চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। এতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ছয় গুণ বেশি ব্যয় হলেও বেসরকারি খাতে স্বাস্থ্যসেবা ক্রমেই বড় হচ্ছে।

কম্প্রিহেনসিভ প্রাইভেট সেক্টর অ্যাসেসমেন্ট (সিপিএসএ) শীর্ষক ইউএসএআইডির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মূলত নব্বইয়ের দশকের পর থেকে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়তে শুরু করে। চিকিৎসাসেবা, হাসপাতাল, চিকিৎসক, বিশেষায়িত হাসপাতাল ক্লিনিক, নার্সিং হোম, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজি ল্যাবরেটরি, ওয়েলনেস সেন্টার সেবাদায়ীদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রএসব ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে।

সর্বশেষ হেলথ বুলেটিনের তথ্যমতে, ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে সরকারি হাসপাতালগুলোর শয্যাসংখ্যা বেড়েছে মাত্র ২৫ শতাংশ। অথচ বেসরকারি খাতে একই সময় শয্যা বেড়েছে চার গুণ। ২০১১ সালে সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার, যা ২০১৭ সাল নাগাদ দাঁড়ায় ৪৯ হাজারে। আর বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় ২০১১ সালে শয্যা সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার। ২০১৭ সালে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজারে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বর্তম??

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন