গভর্নরের সঙ্গে এবিবির বৈঠক

গৃহঋণের সর্বোচ্চ সীমা ২ কোটি টাকা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঋণ অবলোপন শ্রেণীকরণ এবং অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা সংস্কারসহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) যদিও বড় দাবিগুলোর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ব্যক্তিগত গৃহঋণের সর্বোচ্চ সীমা কোটি ২০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে কোটি টাকায় উন্নীত করার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর মহাব্যবস্থাপকরা অংশ নেন। এবিবি চেয়ারম্যান ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুুবুর রহমানের নেতৃত্বে বৈঠকে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের এমডি উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের বিষয়ে সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, সময় পরিস্থিতির চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সময়ে নতুন নতুন নীতিমালা জারি করছে। ওইসব নীতিমালার কিছু শর্ত পালন করতে গিয়ে ব্যাংকাররা সমস্যায় পড়ছেন। সমস্যাগুলোর বিষয়ে জানাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। দেশের সব কয়টি ব্যাংকের পক্ষে আমরা আপত্তিগুলো তুলে ধরেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। আবার কিছু বিষয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে। রুটিন বৈঠকের অংশ হিসেবেই আমরা গিয়েছিলাম। আলোচনার ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধান করাই আমাদের লক্ষ্য।

সূত্রমতে, ঋণ অবলোপন শ্রেণীকরণ এবং অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা সংস্কার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া আলোচনা হয়েছে ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং (আইসিআরআর) গাইডলাইন সংশোধন, বিল অব এক্সচেঞ্জের বিপরীতে স্ট্যাম্প ডিউটি হ্রাস, সিকিউরিটি সার্ভিসেস, ব্যাংকে শ্রম আইনের প্রয়োগ গৃহঋণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানোর বিষয়ে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যক্তিগত গৃহঋণের সর্বোচ্চ সীমা কোটি ২০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে কোটি টাকা করার বিষয়ে ইতিবাচক মত দিয়েছে। বিষয়ে পরবর্তী সময়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানা গেছে। তবে অন্য বিষয়গুলো নিয়ে গভর্নরসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্যাংকারদের দাবি শুনেছেন। নিজেদের পর্যবেক্ষণ আপত্তি তোলা শর্তগুলোর যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন। কোনো বিষয়েই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশোধন বা পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তবে বিষয়গুলো আরো পর্যালোচনা করা হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক আশ্বস্ত করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন