উত্থান-পতনে রোমাঞ্চকর এক মৌসুম পার করছে রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেয়া দলটি পরের ম্যাচেই খাচ্ছে হোঁচট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্যালাতাসারের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেও তাই খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না ‘লস ব্লাঙ্কোস’রা। লা লিগায় আগের ম্যাচেই রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে হোঁচট খায় দলটি। বার্নাব্যুতে অবশ্য সমর্থকদের স্বস্তি দিতে রিয়াল সময় নিল মাত্র ৭ মিনিট। ইতিহাস গড়ে ততক্ষণে রিয়ালকে ডাবল লিড এনে দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন রদ্রিগো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে এত দ্রুত দুই গোল করার কৃতিত্ব আর কোনো ফুটবলারের নেই। এখানেই থামেননি তিনি। হ্যাটট্রিকও আদায় করে নেন এ স্ট্রাইকার। রাউল গঞ্জালেসের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে সর্ব কনিষ্ঠ হ্যাটট্রিক ম্যান এখন রদ্রিগোই।
গ্রুপ ‘এ’-এর ম্যাচে ১৮ বছর বয়সী রদ্রিগো ঘরের মাঠে গোলমুখ খোলেন মাত্র ৪ মিনিটে। ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ মার্সেলোর ক্রসে দারুণ দক্ষতায় জালে জড়িয়ে দলকে উল্লাসে মাতান এ ফরোয়ার্ড। প্রথম গোলের রেশ কাটার আগেই রদ্রিগো দ্বিতীয়বার লক্ষ্যভেদ করেন ম্যাচের সপ্তম মিনিটে। এটিও মার্সেলোর ক্রস থেকে। তবে এবার পায়ে নন, রদ্রিগো গোল করেন হেডে। ১৪ মিনিটে রিয়াল পেয়ে গেল তৃতীয় গোলের উপলক্ষও। গ্যালাতাসারের ডি-বক্সে টনি ক্রুস ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনাল্টি পায় রিয়াল। স্পট কিক থেকে বল জালে জড়ান সার্জিও রামোস। তিন গোলে এগিয়ে রিয়াল যেন আরো আত্মবিশ্বাসী। বিরতিতে যাওয়ার আগে রিয়াল আদায় করে নেয় চতুর্থ গোলটি। এ গোলেও থাকল রদ্রিগোর অবদান। তার বাড়ানো বলেই লক্ষ্যভেদ করেন করিম বেনজেমা। ইতিহাসের পাতায় নাম তোলেন বেনজেমাও। লিওনেল মেসির পর মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টানা ১৫ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আসরে গোল করেন তিনি।
বিরতি থেকে ফিরে এসেও অপ্রতিরোধ্য রিয়াল। এদিন ৬৯ শতাংশ বল দখলে রেখে ২০টি শট নিয়ে ১১টি লক্ষ্যে রাখে রিয়াল। গোটা ম্যাচেই রিয়ালের একচ্ছত্র দাপট বোঝা যায় এ পরিসংখ্যান থেকে। বিপরীতে গ্যালাতাসারে লক্ষ্যে শট রাখতে পারে মাত্র একটি। ৮১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোল করেন বেনজেমা। যোগ করা সময়ে হ্যাটট্রিক আদায় করে নেন রদ্রিগো।
রিয়ালের জয়ের রাতে একই গ্রুপ থেকে পরের পর্ব নিশ্চিত করেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে ২১ মিনিটে পাওয়া মাউরো ইকার্দির একমাত্র গোলিটই মূলত পিএসজিকে