লক্ষ্মীপুর জেলেদের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে হয়েছে। গতকাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি (সদর) আদালতে ভুক্তভোগী জেলে শাহজাহান মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ১০ আসামির নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুনানি শেষে আদালতের হাকিম আবদুল কাদের মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৪ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন।
নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান ও মৃত মিরাজ উদ্দিনের ছেলে ইউসুফ ছৈয়াল, তার ছেলে ইয়াকুব ছৈয়াল, আবু ইউছুফ ছৈয়ালের ছেলে কাজল ছৈয়াল, মৃত হামিদ সর্দারের ছেলে জিল্লাল সদ্দার, হামিদ ভূঁইয়ার ছেলে ফিরোজ, এছাহাকের ছেলে অনু, স্থানীয় সালা আহম্মদ, এছাহাক বন্দুসির ছেলে সাদ্দাম, মৃত কাশেম মিরের ছেলে ইলিয়াছ ও আমিন হোসেনের ছেলে এমরান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন ওই ইউনিয়নের জেলে সম্প্রদায়। সম্প্রতি মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ ধরতে গেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ ছৈয়াল ও তার লোকজন অস্ত্র নিয়ে জেলেদের কাছে চরপ্রতি ৩ লাখ টাকা হারে চাঁদা দাবি করেন। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে নদীতে মাছ ধরতে না দেয়ার হুমকি-ধমকি দেন তারা। এ ঘটনায় জেলেরা লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ইউপি চেয়ারম্যান। গত শনিবার দুপুরে মেঘনা নদীর দীঘার চরের পশ্চিমপাড়ে শাহজাহান মোল্লাসহ কয়েকজন জেলে মাছ ধরতে যান। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ ছৈয়ালের নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী জেলেদের জিম্মি করে নৌকাপ্রতি ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবীকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় জেলের মারধর করা হয়। একপর্যায় চেয়ারম্যানের লোকজন দেড় লাখ টাকার মাছ ধরার জাল এবং ১ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে জেলেদের নদীতে মাছ শিকার করতে দেবে না বলেও হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনার পর নদীতে মাছ শিকারে যেতে না পারায় বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চর মোহন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মূলত