দেশী-বিদেশী সাহিত্যিকদের মিলনমেলা

শুরু হয়েছে ঢাকা লিট ফেস্টের নবম আসর

ঘড়িতে সকাল ১০টা। বাংলা একাডেমির ভেতরে ঢুকতেই সাজসাজ রব চোখে পড়ে। ফুলেল সাজে সজ্জিত একাডেমির বিভিন্ন ভবন। বসেছে হরেক রকমের স্টল। এসব স্টল ঘিরে দেশী-বিদেশী নানা মানুষের সমাগম। অনেকে আবার এসব স্টলের সামনে গিয়ে ব্যস্ত সেলফি তোলায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একাডেমি চত্বরে ভিড়টা যেন আরেকটু বেড়ে যায়। ভবনের মূল ফটক দিয়ে একের পর এক দেশী-বিদেশী খ্যাতনামা ব্যক্তিরা ঢুকতে থাকেন। ঢোকামাত্র স্বনামধন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে এক ফ্রেমে নিজেদের বন্দি করতে অনেকে ছুটে আসেন তাদের কাছে। এটা ছিল বাংলা একাডেমির গতকালের চিত্র। শুরু হয়েছে ঢাকা লিট ফেস্টের (ডিএলএফ) নবম আসর। প্রতি বছরের মতো এবারো বাংলা একাডেমিতে করা হয়েছে এ আয়োজন।

বেলা সাড়ে ১১টায় আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ অডিটোরিয়ামে তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এবং বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ও ম্যানবুকার পুরস্কারে চূড়ান্ত তালিকায় মনোনীত লেখক মনিকা আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লিট ফেস্টের পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ ও সাদাফ সায্, আহসান আকবর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরু হয় সাধনা নৃত্যগোষ্ঠীর পরিবেশনার মাধ্যমে।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, ‘২০১১ সালে যার যাত্রা শুরু হয়েছিল, আজকে তার নবম আসর। বাংলার সাহিত্যকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে ঢাকা লিট ফেস্টের আয়োজন। আমাদের আশা, এক দিন এই লিট ফেস্ট বাংলাকে বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে। আয়োজনের সমৃদ্ধির জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করছে। আগামী বছর আয়োজনের মান আরো বাড়বে বলে আশা করছি।

ঢাকা লিট ফেস্ট হলো সাহিত্যের খোলা মঞ্চ, যেখানে বসে দেশী-বিদেশী সাহিত্যিকদের মিলনমেলা। এ মঞ্চে শিল্প, সাহিত্য, চলচ্চিত্র, রাজনীতি, ধর্ম, সমাজ, বিজ্ঞানসবকিছু নিয়ে আলাপ চলে। গত আট বছরে বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গণিতবিদসবার পদচারণা ছিল লিট ফেস্টে। উৎসবে দেশী-বিদেশী সাহিত্যিকরা তাদের মুক্তচিন্তা, লেখালেখি, কাজ নিয়ে নানা আলাপ-আলোচনা তুলে ধরেন। এবারো এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন