চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বছরখানেক
ধরে চলা বাণিজ্যযুদ্ধের সময় আরোপিত শুল্ক ক্রমান্বয়ে তুলে নেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে
চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে কবে থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হবে, তা
নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। খবর রয়টার্স।
সেলফোন, ল্যাপটপ কম্পিউটারস, খেলনাসহ
১৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের চীনা আমদানি পণ্যে আগামী ১৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের
শুল্ক আরোপ করার কথা রয়েছে। কিন্তু সবাই প্রত্যাশা করছে এর আগেই চীন ও
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি হতে পারে। ওই চুক্তিতে এ শুল্ক
আরোপ না করার অঙ্গীকার করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মুখপাত্র
গাও ফেং বলেন, যেকোনো ধরনের চুক্তির ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহার একটি গুরুত্বপূর্ণ
শর্ত। তিনি আরো বলেন, বাণিজ্য চুক্তির
‘প্রথম পর্যায়ে’ পৌঁছাতে হলে উভয়কেই একে অন্যের ওপর
আরোপিত শুল্ক অবশ্যই বাতিল করতে হবে।
গাও বলেন, শুল্কআরোপের
মধ্য দিয়ে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছিল এবং শুল্ক প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে এর ইতি ঘটা উচিত।
তিনি আরো বলেন, চুক্তির
প্রথম পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য উভয় পক্ষকেই সমান অনুপাতে শুল্ক বাতিল করতে হবে।
শুল্ক বাতিলের সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু
জানাননি তিনি।
গাও বলেন, গত
দুই সপ্তাহে উভয় পক্ষের শীর্ষ আলোচকরা প্রধান উদ্বেগগুলোর যথাযথ সমাধান নিয়ে
অত্যন্ত গুরুতর ও গঠনমূলক আলোচনা করেছেন। পক্ষ দুটি নিজ নিজ আলোচনায় অগ্রগতি অর্জন
করায় তারা বিভিন্ন পর্যায়ে অতিরিক্ত শুল্ক বাতিল করতে সম্মত হয়েছে। কবে নাগাদ এসব
পদক্ষেপ গ্রহণ করা হতে পারে,
তার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাননি তিনি। চীনের
রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়,
চীনের কাস্টমস ও কৃষি মন্ত্রণালয় মার্কিন
পোলট্রি আমদানির সীমাবদ্ধতা অপসারণের কথা বিবেচনা করছে। এটিকে আশাবাদ বৃদ্ধির আরো
একটি ইঙ্গিত হিসেবে দেখা যেতে পারে।