তৃতীয় প্রান্তিকে ফিলিপাইনের অর্থনীতি
প্রত্যাশার চেয়ে বেড়েছে। সরকারি ব্যয় বাড়ায় এটি সম্ভব হয়েছে। পূর্বাভাসের তুলনায়
অর্থনীতি বাড়ায় চলতি বছর দেশটির নীতিমালা শিথিল করার আর দরকার পড়বে না। খবর
সিএনবিসি।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশটির মোট
দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে
ফিলিপাইন স্ট্যাটিস্টিকস অথরিটি
(পিএসএ)। এ প্রান্তিকে
দেশটির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ অতিক্রম করতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল রয়টার্সের
মধ্যমেয়াদি পূর্বাভাসে।
এদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির
প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে মৌসুমভিত্তিক সমন্বিত হিসেবে তৃতীয় প্রান্তিকে
দেশটির অর্থনীতি বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রত্যাশানুসারে, সরকারি
ব্যয় বাড়ায় ও মূল্যস্ফীতি নাগালের মধ্যে রাখতে পারায় এবং কৃষি খাত ঘুরে দাঁড়ানোয়
তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে এতটা প্রবৃদ্ধি নিয়ে
ফিলিপাইন এশিয়ার অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল অর্থনীতির মর্যাদা ধরে রেখেছে। তবে
চলমান চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ চলতি বছর নিজেদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬-৭ শতাংশে
উন্নীত করার লক্ষ্য বিঘ্নিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে চলতি বছরের শেষ
প্রান্তিকে দেশটির প্রবৃদ্ধি অন্তত ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন
দেশটির অর্থনৈতিক পরিকল্পনা সেক্রেটারি আর্নেস্তু পেরনিয়া।
দেশটির বিরাজমান অর্থনৈতিক অবস্থা
নিয়ে ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের এশিয়া শাখার অর্থনীতিবিদ অ্যালেক্স হোমস বলেন, ফিলিপাইন
তৃতীয় প্রান্তিকে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির দেখা পেলেও তা একটি টেকসই অর্থনীতির সূচনা
করবে বলে মনে করি না আমরা। তবে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, দেশটির ভোক্তা ব্যয় একটি সাবলীল হারে
অব্যাহত থাকবে, যা মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সাহায্য করবে। মূল্যস্ফীতি
নাগালের মধ্যে থাকলে সেখানকার ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে।
তবে সেপ্টেম্বরে গত ছয়মাসে প্রথমবার
দেশটির রফতানি সংকুচিত হয়েছে। দেশটির প্রথম সারির কিছু ব্যবসায়িক পার্টনারদের
চাহিদা কমায় এমনটা হয়েছে। তবে অবকাঠামো খাতের ব্যয় বাড়া সত্ত্বেও সেপ্টেম্বরে টানা
ছয় মাস দেশটির আমদানি কমেছে।
অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে গত বছরের একই
সময়ের তুলনায় দেশটির ব্যয় ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। তবে তা আরো বাড়ানো দরকার। প্রসঙ্গত, চলতি
বছর দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার তিনবার কমিয়েছে। তিনবারে মোট ৭৫ বেসিস পয়েন্ট
কর্তনের ফলে দেশটির সুদহার দাঁড়িয়েছে ৪ শতাংশে, যা একটি রেকর্ড।