প্রাক-আধুনিক
পূর্ব এশিয়ার
সবচেয়ে ক্ষমতাধর
রাজনৈতিক কেন্দ্র
ছিল চীনের
মিং সাম্রাজ্য।
১৩৬৮ থেকে
১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ—২৭৬
বছরের শাসন।
বলা হয়
এ আমলে
চীনের অর্থনীতি
ছিল দুনিয়ার
সবচেয়ে বড়,
দুনিয়ার অন্য
যেকোনো শাসনকেন্দ্রের
চেয়ে তাদের
ভৌগোলিক বিস্তার
বিস্তৃত ছিল
এবং তাদের
সাম্রাজ্যে শিক্ষিত
মানুষের সংখ্যাও
অন্য কোনো
অঞ্চল থেকে
বেশি ছিল।
স্থাপনা নির্মাণ,
শিল্পকলায়ও এদের
ছিল অসামান্য
অবদান। দুনিয়ার
অন্যতম আশ্চর্য
হিসেবে বিবেচিত
চীনের মহাপ্রাচীরের
অধিকাংশ এই
মিংদের আমলেই
নির্মিত হয়েছিল।
বেইজিংয়ের কেন্দ্রে
‘ফরবিডেন সিটি’ও
তাদের কীর্তি।
মিং শাসনামলেই
চীনের নীল
ও সাদা
পোর্সেলিন দুনিয়ায়
বিখ্যাত হয়েছিল।
এ সাম্রাজ্যকে
চীনের ইতিহাসের
তিনটি স্বর্ণযুগের
একটি হিসেবে
বিবেচনা করা
হয়।
বর্তমানকালে
অনেক পণ্ডিত
বলেন, দুনিয়ায়
চীনের ক্রমবর্ধমান
প্রভাব এবং
এর ভবিষ্যেক
বুঝতে মধ্যযুগের
সেই মিং
সাম্রাজ্যকে অনুসন্ধান
করা প্রয়োজন।
তিন শতক
ধরে মিংরা
ছিল পূর্ব
এশিয়ার সবচেয়ে
প্রভাবশালী রাজনৈতিক
শক্তি। সাইনোসেন্ট্রিক
বা চীনকেন্দ্রিক
দুনিয়ার যে
ভাবনা তা
মিং সাম্রাজ্যে
স্পষ্ট দেখা
গিয়েছিল। তারা
তাদের আশপাশের
রাজ্যগুলোর সঙ্গে
সম্পর্ক গড়ে
তুলেছিল এই
সাইনোসেন্ট্রিক ব্যবস্থার
ধারণার অধীনে,
আর এ
ধারণাকে কাঠামো
দিয়েছিল তাদের
সামরিক শক্তি।
কোরীয়দের সঙ্গে
মিংদের বৈদেশিক
সম্পর্ক সবসময়
আঁকাবাঁকা পথে
এগিয়েছে। আর
যাযাবর গোষ্ঠীগুলোর
সঙ্গে কখনই
শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক
স্থাপন করা
সম্ভব হয়নি।
সাইনোসেন্ট্রিক
বা চীনকেন্দ্রিক
দুনিয়ার ধারণা
প্রাক-আধুনিক
সময়েই গড়ে
উঠেছিল। এটা
ছিল চীনের
পররাষ্ট্র নীতির
কাঠামোগত নির্মাণ।
সাইনোসেন্ট্রিসিজমের দুটি
দিক ছিল—একটি
বস্তুগত, অন্যটি
ধারণাগত। পুরো
ব্যবস্থাটিকে টিকিয়ে
রেখেছিল মিংদের
সামরিক শক্তি,
যা তার
বিরোধীদের প্রতিরোধ
করতে ব্যবহূত
হয়েছিল। আর
ব্যবস্থাটিকে ধারণ
করেছিল মিংদের
মতাদর্শিক ভাবনা,
যেমন কনফুসিয়াসের
চিন্তাধারা। এ
ভাবনা অনুসারে
মিংরা প্রতিবেশীদের
সঙ্গে শান্তিপূর্ণ
একটি সম্পর্ক
গড়ে তোলায়ও
মনোযোগ দিয়েছিল।
সন্দেহ
নেই, তাদের
সময়ে মিংরা
ছিল পূর্ব
এশিয়ার সবচেয়ে
শক্তিশালী কেন্দ্র।
এই শ্রেষ্ঠত্ব
নিশ্চিত হয়েছিল
দুটি কারণে—এদের
সামরিক সক্ষমতা
ও সাংস্কৃতিক
উত্কর্ষ। মিংদের
সামরিক শক্তি
সম্পর্কে আশপাশের
রাষ্ট্রকেন্দ্রগুলোর ভালো
শিক্ষা হয়ে
গিয়েছিল। স্থলে
মিংরা মোঙ্গলদের
অশ্বারোহী বাহিনীকে
পরাজিত করেছিল
এবং চীনের