দেশে পৌঁছেছে সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ

বণিক বার্তা অনলাইন

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় এই মুক্তিযোদ্ধার কফিন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিমানবন্দরে সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ গ্রহণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

খোকার স্ত্রী ইসমত হোসেন, ছেলে ইশরাক হোসেন ও ইশফাক হোসেন, মেয়ে সারিকা সাদেক এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালামসহ স্বজনরাও একই ফ্লাইটে দেশে এসেছেন। এসময় বিএনপি নেতাদের মধ্যে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন, আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, আতাউর রহমান ঢালী, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, মীর সরাফত আলী সপু, শামীমুর রহমান, কামরুজ্জামান রতন, নবী উল্লাহ নবী, এসএম জাহাঙ্গীরসহ ঢাকা মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের বিশেষায়িত হাসপাতাল মেমোরিয়াল স্লোয়ান ক্যাটারিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে মারা যান বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৬৭ বছর। 

সোমবার নিউ ইয়র্কে কুইন্সের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছাড়াও প্রবাসীদের অনেকেই জানাজায় অংশ নেন।

বিমানবন্দর থেকে সরাসারি সাবেক এই মেয়রের মরদেহ সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আনা হবে। বেলা ১১টায় সেখানে আরেক দফা জানাজা হবে। এরপর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এই মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত। শহীদ মিনার থেকে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেওয়া হবে খোকার কফিন। জোহরের পর সেখানে আরেক দফা জানাজা হবে তার।

এরপর ঢাকার সাবেক এই মেয়রের কফিন নেওয়া হবে দক্ষিণ সিটির নগর ভবনে। সেখানেও একটি জানাজা হবে। তার মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার পূর্ণ দিবস ছুটি ঘোষণা করেছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। নগর ভবনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এই বিএনপি নেতার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পুরান ঢাকার গোপীবাগে তার পৈত্রিক নিবাসে। আসরের পর বালুর মাঠে হবে সর্বশেষ জানাজা। এরপর জুরাইন কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।

১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৯১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচিত হন। দায়িত্ব পালন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তার দল সরকার গঠন করলে তিনি মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। সব শেষে ২০০২ সালে তিনি অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র হন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন