কৃষক লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

কৃষিজমিতে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষি রক্ষায় আবাদি জমিতে শিল্প-কারখানা স্থাপন না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা উন্নত হব, শিল্পায়নে যাব। কিন্তু সেটা কৃষককে ত্যাগ করে নয়, কৃষিকে ত্যাগ করে নয়। কারণ কৃষি আমাদের বাঁচিয়ে রাখে, খাদ্য দেয়, পুষ্টি দেয়, সবকিছু করে। তাই আমরা উন্নয়ন প্রকল্পটা এমনভাবে নিই, যাতে কৃষক সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনফসলি জমিতে কোনো শিল্প-কারখানা স্থাপন করতে দেয়া হবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শিল্প স্থাপনের জন্য আমরা ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি, যাতে কোনো কৃষিজমি নষ্ট না হয়। যেখানে-সেখানে ইন্ডাস্ট্রি করবে, এটা হতে পারবে না। তিনফসলি জমিতে তো অবশ্যই না।

শিক্ষিত তরুণদের কৃষির প্রতি অনীহা দূর করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা লেখাপড়া শেখে, তারা আর মাঠে যেতে চায় না। কৃষকের ছেলে, যার বাবা কৃষিকাজ করে লেখাপড়া শিখিয়েছে, তাকে অবশ্যই মাঠে যাওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, দুই পাতা পড়েই মনে করে আমি কেন যাব? আমার মনে হয় ওই চিন্তা থেকে দূরে থাকা দরকার। জায়গাটায় আমাদের কৃষক লীগের একটা ভূমিকা থাকা দরকার। আমি মনে করি, স্কুলজীবন থেকে মাঠে যাওয়ার অভ্যাসটা আমাদের থাকা দরকার।

এবার কৃষকের ধান কাটতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছিল। তখন ছাত্রলীগকে বলেছিলাম, তোমরা এখন মাঠে চলে যাও, সবাই ধান কাটার কাজে কৃষকদের সঙ্গে হাত লাগাও।

এটা লজ্জার কিছু না। নিজের কাজ নিজে করাতে লজ্জার কিছু থাকে না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব, নিজের খাবার নিজে খাব, তাতে লজ্জার কী আছে? কোনো কাজে লজ্জার কিছু নেই। বলেছি, সব কাজ করার মতো ক্ষমতা রাখি, প্রয়োজনে আমিও যাব। আমি আমার গ্রামে বলে রেখেছি, তোমরা যখন ধানের বীজতলা রোপণ করবা বা ধান কাটবা আমাকে খবর দিবা, দরকার হলে আমিও যাব। কারণ আমার এতে কোনো লজ্জা নেই।

বিএনপির আমলে সারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আপনাদের মনে আছে, কৃষকরা সার

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন