নির্মাণের পর থেকেই পরিত্যক্ত ৪ কোটি টাকার সুইমিংপুল

ওমর ফারুক চট্টগ্রাম ব্যুরো

নগরীর শিশু-কিশোরদের সাঁতার শেখাতে কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি সুইমিংপুল নির্মাণ করেছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার জাতিসংঘ পার্কে নির্মিত সুইমিংপুলটিতে মাত্র একদিনের জন্য সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। এরপর চার বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এটি। শুধু সুইমিংপুল নয়, সিটি করপোরেশনের অধীন নগরের অন্যতম উন্মুক্ত পরিসর জাতিসংঘ পার্কটিও পরিত্যক্ত পড়ে আছে এখন।

নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, জাতিসংঘ পার্কে অপরিকল্পিতভাবে সুইমিংপুলটি নির্মাণ করেছিল সিটি করপোরেশন। কিন্তু এত টাকা দিয়ে নির্মাণের পর এটিকে কেন এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে, তা- বোধগম্য নয়। অবিলম্বে পার্ক সুইমিংপুল দুটিই চালু করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তথ্যমতে, ২০১২ সালে জাতিসংঘ পার্কের একাংশে এক একর জায়গার ওপর সুইমিংপুল জিমনেশিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম। এছাড়া সাত হাজার বর্গফুট জায়গার ওপর নির্মাণ করা হয়েছে জিমনেশিয়াম ভবনটি। ওই বছরের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের জুনে নির্মাণ শেষে সিটি করপোরেশনকে তা বুঝিয়ে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মিত দুটি সুইমিংপুলের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট এবং প্রস্থ ৫০ ফুট। একটির গভীরতা আট ফুট, অন্যটির সাড়ে আট ফুট। নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া সুইমিংপুলটি উদ্বোধন করে যেতে পারেননি এম মনজুর আলম।

২০১৫ সালের ২৬ জুলাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন নাছির উদ্দীন। অপরিকল্পিতভাবে সুইমিংপুলটি নির্মাণ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালে জাতিসংঘ পার্ককে এলিট পার্ক লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ বছরের জন্য ইজারা দেয়ার উদ্যোগ নেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে কমিউনিটি সেন্টার গেস্ট হাউজসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছিল। সিটি মেয়রের বাণিজ্যিক উদ্যোগ তত্কালীন গৃহায়ন গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন এবং পাঁচলাইশ আবাসিক সমিতির বাধার মুখে পড়ে আর বাস্তবায়ন হয়নি। পার্কের মালিকানা নিয়েও সরকারি দুই সংস্থা গণপূর্ত বিভাগ সিটি করপোরেশন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। পরে জাতিসংঘ পার্কে ১২ কোটি টাকার প্রকল্প নেয় গণপূর্ত অধিদপ্তর। সিটি করপোরেশনের

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন