গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক আজ

আলোচনায় থাকবে ঋণ অবলোপন শ্রেণীকরণ নীতিমালা সংস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঋণ অবলোপন শ্রেণীকরণ এবং অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা সংস্কারসহ বেশকিছু বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) আজ বেলা সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুুবুর রহমানের নেতৃত্বে -১০ জন ব্যাংক এমডি বৈঠকে অংশ নেবেন।

বৈঠকের বিষয়ে এবিবি চেয়ারম্যান ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রতি ত্রৈমাসিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এমডিদের বৈঠক হয়। তবে সবসময় বৈঠক যথাসময়ে করা সম্ভব হয় না। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সভার আলোচ্য বিষয় সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন বিষয়ে জানাতে আমরা গভর্নর মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাব। এটি রুটিন বৈঠকের অংশ।

তবে একাধিক ব্যাংকের এমডি বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারীকৃত বেশ কয়েকটি নীতিমালার কিছু শর্ত নিয়ে ব্যাংকারদের আপত্তি আছে। আমানত ঋণের সুদহার কমানো, বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের অস্থিরতাসহ কিছু বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব পর্যবেক্ষণও আছে। এসব বিষয় স্পষ্ট করতেই বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে।

সম্প্রতি ঋণ অবলোপন নীতিমালার সংস্কার করে একটি নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালায়, কোনো ঋণ মন্দ মানের খেলাপি হওয়ার সর্বনিম্ন তিন বছর পর অবলোপন করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। এর আগে সর্বনিম্ন কোনো সীমা না থাকলেও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মন্দ মানের খেলাপি থাকার পর অবলোপনের সুযোগ রাখা হয়েছিল।

ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, খেলাপি হওয়া ঋণের বিপরীতে শতভাগ সঞ্চিতি সংরক্ষণ করার পর কোনো ঋণ অবলোপন করতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংক নির্বাহীদের যুক্তি হলো, এমনিতেই ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বেশি, অবস্থায় ব্যালান্সশিট পরিচ্ছন্ন করার স্বার্থে ঋণ অবলোপন করতে হয়। কোনো ঋণের বিপরীতে শতভাগ সঞ্চিতি সংরক্ষণ মামলা দায়েরের পরও অবলোপনের জন্য তিন বছর অপেক্ষা করতে হলে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বাড়বে।

যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ঋণ আদায়ে জোর দিতেই অবলোপন নীতিমাল??

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন