তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোনো পেশাই অসম্মানের নয়, সব কাজই সম্মানের। কোনো কাজকে, কোনো পেশাকে অসম্মানিত করে কোনো কিছু বলা কারো উচিত নয়। সব মানুষ সম্মানের, সব কাজ সম্মানের।
চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে হোটেল বয় হিসেবে কর্মরত চলচ্চিত্র পরিচালক অরণ্য পলাশকে গতকাল নিজের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা দানকালে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকায় সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে গিয়ে নিঃস্বপ্রায় এ চলচ্চিত্র পরিচালককে তথ্যমন্ত্রী নিজের পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা দেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মো. মিজান-উল-আলম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, অরণ্য পলাশ ও তার নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রযোজক এলিনা শাম্মীসহ মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি নিজেও বিদেশে রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ করেছেন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি নিজে যখন বিদেশে পড়াশোনা করতাম, তখন আমি হোটেল-রেস্তোরাঁয় কাজ করতাম। অর্থাৎ আমি নিজেও টি-বয়ের কাজ করতাম, সেখানে টি-বয় বলে না, ওয়েটার বলে। এটি বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই যে আমি সেই কাজ করতাম। একদিন-দুদিন নয়, আমি বিদেশে অনেক দিন ছিলাম মাস্টার্স ও ডক্টরেট করার জন্য। সেখানে অনেক দিন কাজ করেছি, মাসের পর মাস।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, অরণ্য পলাশের এ অবস্থা দেখে আমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব—সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি কোনোভাবে তাকে সহায়তা করা যায় কিনা। কারণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহায়তা করতে হলে একটা প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। আপনারা জানেন, সরকার যে অনুদান দেয়, সেটার একটা কমিটি আছে, সেই কমিটির মাধ্যমে অনুদান অনুমোদিত হতে হয়। কমিটির সঙ্গে আমি কথা বলব, তার এ চলচ্চিত্র যাতে মুক্তি পায়, সেজন্য আরো কী খরচ দরকার, কিছু খরচ তো তিনি করে ফেলেছেন। আর কী সহায়তা দরকার, কমিটির সঙ্গে সেটি নিয়ে আলোচনা করব।
নির্মাতা অরণ্য