দেশে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক রয়েছেন ৭৯ লাখ। এর মধ্যে বয়স্ক ভাতা পান ৩৯ দশমিক ৯ শতাংশ, সরকারের কাছ থেকে অবসর ভাতা পান ৭ দশমিক ৬ শতাংশ ও বেসরকারি খাত থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড বা গ্র্যাচুইটি পান ১০ শতাংশ। পঁয়ষট্টি-ঊর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর বাকি ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষ কোনো ধরনেরই বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না। অক্সফাম বাংলাদেশ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম: ফ্রেমওয়ার্কের সন্ধানে’ শীর্ষক সংলাপের মূল প্রেজেন্টেশনে গতকাল এসব তথ্য উঠে আসে।
সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ আলোচক ছিলেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. দীপংকর দত্ত। সভাপতিত্ব করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য। মূল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সংস্থাটির আরেক সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
মূল প্রেজেন্টেশনে বয়স্ক নাগরিকদের জন্য একটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম গঠনে চারটি স্তম্ভের প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে শূন্য স্তম্ভে দারিদ্র্যসীমার নিম্নসীমানাকে বিবেচনায় নিয়ে মাথাপিছু ১ হাজার ৮৫০ টাকা বয়স্ক ভাতা দেয়ার কথা বলা হয়। প্রথম স্তম্ভে দারিদ্র্যসীমার উচ্চসীমানাকে বিবেচনায় নিয়ে ২ হাজার ২৫০ টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। দ্বিতীয় স্তম্ভে মাথাপিছু আয়ের ১৫ শতাংশ হিসেবে ও তৃতীয় স্তম্ভে মাথাপিছু আয়ের ২০ শতাংশ হিসেবে বয়স্ক ভাতা দেয়ার কথা বলা হয়। এছাড়া এতে স্বেচ্ছামূলক (নন-কনট্রিবিউটরি) ও অবদানমূলক (কনট্রিবিউটরি) বয়স্ক ভাতারও প্রস্তাব দেয়া হয়।
মূল প্রেজেন্টেশনে বলা হয়, প্রচলিত সামাজিক সম্পর্কগুলোর ক্ষয় হচ্ছে। এ মুহূর্তে নাগরিকদের জন্য ন্যূনতম নিরাপত্তাবলয় নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এটা শুধু রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব নয়, ব্যক্তি খাতকেও এখানে ভূমিকা রাখতে হবে।
এ সময় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নে ব্যক্তি খাতের ভূমিকা বাড়ানোর পাশাপাশি আর্থিক ব্যবস্থাপনায় দরিদ্রদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, প্রশাসনিক সংস্কার ও গড় জিডিপি বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়ার কথা বলা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী