কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

বছরে কার্বন নিঃসরণ হবে সাড়ে ১১ কোটি টন

নিজস্ব প্রতিবেদক

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০টিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বছরে সাড়ে ১১ কোটি টন অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ হবে। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কয়লায় শ্বাসরুদ্ধ: কার্বন বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ শীর্ষক এক গবেষণাপত্র প্রকাশকালে এমন তথ্য দেয়া হয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মার্কেট ফোর্সেস থ্রি ফিফটি যৌথভাবে গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। একই সময়ে গবেষণাপত্রটি আন্তর্জাতিকভাবেও প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ২০৩১ সাল নাগাদ বায়ুমণ্ডলে বার্ষিক ১১ কোটি ৫০ লাখ টন অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হবে। যেখানে বর্তমানের ৫২৫ মেগাওয়াটের বিপরীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩৩ হাজার ২৫০ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে। আর বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬৩ গুণ বাড়ানোর এই পরিকল্পনায় বড় প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে চীন, যুক্তরাজ্য, জাপান ভারতের মতো কয়েকটি প্রভাবশালী রাষ্ট্র।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল গবেষণা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। এছাড়া বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক . ইফতেখারুজ্জামান, বাপার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ব্রতীর নির্বাহী প্রধান শারমীন মুরশিদ এবং লিগ্যাল ইকোনমিস্ট এমএস সিদ্দিকী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে পরিবেশের ওপর এর প্রভাব নিয়ে তাদের অভিমত তুলে ধরেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় আকারের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা মূলত বৈদেশিক ঋণসহায়তা নির্ভর, যেটি সার্বিকভাবে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণভার বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে এবং বৈদেশিক বাণিজ্য ভারসাম্যকে আরো প্রকট করে তুলবে। প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশকে বার্ষিক ২০০ কোটি ডলার মূল্যের কোটি ১০ লাখ টন কয়লা আমদানি করতে হবে, যা উচ্চমূল্যের কয়লা আমদানির ফাঁদে ফেলে দেবে। আর যেটি কিনা নতুন অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শঙ্কাও তৈরি করবে। বলা যায়, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে কার্বন বিস্ফোরণ কিংবা কয়লার নিচে চাপা পড়ে বিধ্বস্ত

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন