ধানের বাজার মন্দা

আমনেও জেঁকে বসেছে লোকসানের শঙ্কা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম ও জয়পুরহাট

 উৎপাদন ভালো হলেও গত বোরো মৌসুমে ধানের কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি কৃষক শ্রমিক সংকটসহ নানা কারণে উল্টো লোকসান গুনতে হয়েছিল এখনো বাজারে মন্দা ভাব বিরাজ করায় এবার আমন মৌসুমেও এর পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা তাদের এমনকি মজুদ করে রাখা বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকে তবে কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি, সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ শুরু হলে বাজার চাঙ্গা হবে

দেশের কৃষিনির্ভর জেলাগুলোর একটি কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ধানচাষীর সংখ্যা প্রায় লাখ ৯৭ হাজার গত বোরো মৌসুমে জেলায় লাখ ১৪ হাজার ৪৮২ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়, যা থেকে ধান উৎপাদন হয় লাখ ৬৩ হাজার ১৬৪ টন ওই সময়ে ৪৫০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করে বিঘাপ্রতি প্রায় হাজার টাকা লোকসানের কথা জানিয়েছিলেন কৃষকরা

এবার আমন মৌসুমে জেলাটিতে লাখ ২২ হাজার ১৬৯ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হলেও বন্যার কারণে আবাদ ঠেকেছে লাখ ১৯ হাজার ৩০৫ হেক্টরে আর বর্তমানে বাজারে ধান বিক্রি হচ্ছে আগের মতো মণপ্রতি ৪৫০ টাকায় কৃষকদের আশঙ্কা, বাজারে আমন ধান আসা শুরু হলে দাম আরো কমে যেতে পারে অথচ গত বছর জেলায় আমন বিক্রি হয়েছিল প্রতি মণ ৬৫০ টাকা

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের কৃষক জাহিদুল বলেন, বন্যার কারণে এবার সব জমিতে আমন লাগাতে পারিনি অন্য জেলা থেকে বেশি দামে আমন চারা কিনতে হয়েছে আবার শেষ সময়ে জমিতে সেচও দিতে হয়েছে ফলে এবার আমন আবাদে খরচ পড়েছে অনেক অবস্থায় যদি ধানের দাম না বাড়ে, তাহলে আর আবাদ করব না

ধানের দামের একই অবস্থা জয়পুরহাটে জেলাটিতে এবার ৭৫ হাজার ৭৭০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আমন আবাদ হয়েছে ৭৩ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে ২০১৮-১৯ আমন মৌসুমে জেলাটিতে ৭২ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছিল থেকে চাল উৎপাদন হয়েছিল লাখ ১৫ হাজার ৫৮২ টন

তবে শুধু আমন নয়, বাজার মন্দার কারণে বেশি দাম পাওয়ার আশায় মজুদ রাখা বোরো ধানও ভাঁজ ফেলেছে কৃষকের কপালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বালাকান্দি কৈকুরী গ্রামের কৃষক মো. রব্বানী মন্ডল বোরো মৌসুমে তিন একর জমিতে ধান আবাদ করেছিলেন তিনি বলেন, বেশি দাম পাওয়ার

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন