স্থানীয় ও বিদেশী ফুটবলার নিয়ে দুর্দান্ত একটা স্কোয়াড বসুন্ধরা কিংসের। আগামী মৌসুমে কেবল ঘরোয়া আসর নয়, এএফসি কাপ দিয়ে হালের পরাশক্তিরা আলো ছড়াতে চায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। সর্বজয়ের মিশনে দুজনকে স্বপ্নের সারথি করার পথে ক্লাবটি; যারা বিদেশের নাগরিক, কিন্তু খেলবেন স্থানীয় কোটায়!
ফিনল্যান্ডে জন্ম ও বেড়ে ওঠা তারিক কাজী বেশকিছু দিন ধরেই ছিলেন কিংসের রাডারে। বাবা বাংলাদেশী, মা ফিনিশ। জন্মস্থান টেমপেরের ক্লাব এফসি ইলভেসের হয়ে খেলেন তারিক। ১৯ বছর বয়সী রাইটব্যাককে উড়িয়ে আনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কিংস। ঢাকায় দীর্ঘদিন বসবাস করা নাইজেরীয় এলিটা কিংসলে আবেদন করেছেন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চেয়ে। স্থানীয় কোটায় দুজনকে হয়তো কিংসের লাল-সাদা জার্সিতে দেখা যাবে।
তারিক কাজী খেলেছেন ফিনল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। আপাতত এটাই তার সবচেয়ে বড় সনদ। কিংস ম্যানেজার বিএ জুবায়ের নিপু অবশ্য ওই সনদ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকেননি। যতদূর খবর নিয়েছেন, তাতে নাকি এ ফুটবলার নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। তা-ই যদি হয়, তবে কিংসের পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্যও হয়তো এটা ভালো খবর।
এ নিয়ে বিএ জুবায়ের নিপু বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমরা যত দূর খবর নিয়েছি, তারিক রাইটব্যাক পজিশনে খেলে। প্রয়োজনের সময় সেন্টারব্যাক হিসেবে খেলার দক্ষতাও আছে। বয়সও কম, এখনো উন্নতির সুযোগ রয়েছে এ ফুটবলারের।’
একাধিক পজিশনে খেলার ক্ষমতাসম্পন্ন ফুটবলার যেকোনো দলের জন্যই সম্পদ। মৌসুমের লম্বা পথ পাড়ি দিতে গিয়ে ইনজুরি-নিষেধাজ্ঞার মতো বাধা পেরোতে হয়। ওই ক্ষমতার জন্যই কি তারিকের পেছনে ছুটছে কিংস? নিপুর কথায়, ‘প্রতিভাবান না হলে কিন্তু ফিনল্যান্ডের হয়ে বয়সভিত্তিক ফুটবল খেলতে পারত না তারিক। কিংস কেবল কাগজপত্র দেখেই তার প্রতি আকৃষ্ট হয়নি। বরং এ খেলোয়াড় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেই তাকে দলভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করছি, বসুন্ধরার পাশাপাশি জাতীয় দলকেও সার্ভিস দিতে পারবে সে।’
তারিকের ক্লাব ইলেভেস চলতি বছরের ফিনিশ কাপ জয়ের কল্যাণে আগামী মৌসুম ইউরোপা লিগের বাছাই পর্বের প্রথম রাউন্ডে খেলবে। লিগে ২৭ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিল ইলভেস। পরীক্ষার কারণে এখনই কিংসে যোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না এ ফুটবলারের। জানুয়ারিতে তার বাংলাদেশে আসার কথা। ক্লাব সূত্র জানিয়েছে, তার আগেই তারিকের সঙ্গে চুক্তি সেরে রাখবে