দুই নদীর ভাঙনে বিপাকে এক ইউনিয়নের ৩০০ পরিবার

ঝুঁকিতে দুই সড়ক

বণিক বার্তা প্রতিনিধি রাজবাড়ী

 পানি কমতে থাকায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নে ভাঙতে শুরু করেছে চত্রা গড়াই নদীর তীর কারণে এক সপ্তাহে নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে অন্তত ৩০টি বসতবাড়ি ভাঙন বাড়তে থাকায় বসতবাড়ি বিলীনের আশঙ্কায় বিপাকে পড়েছে ইউনিয়নের আরো ৩০০ পরিবার এছাড়া ভাঙনে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে দুটি পাকা সড়ক স্থানীয়দের দাবি, অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন স্থায়ী ব্যবস্থা না নেয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নারুয়া ইউনিয়নের দুপাশ দিয়ে গড়াই চত্রা নদী বয়ে গেছে

পানি কমতে থাকায় নারুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে দুই নদীর তীর ভাঙতে শুরু করেছে এর মধ্যে ঘি কমলা খাটিয়াগাড়ায় চত্রা নদীর ভাঙনের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি

সরেজমিন ঘি কমলা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামে অন্তত এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চত্রা নদীর তীর ভাঙছে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়ে মাটি দেবে যাচ্ছে এতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি, বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা

গ্রামের বাসিন্দা ফাতেমা বেগম বলেন, নদীভাঙনে ফসলি জমি-ভিটেমাটি সব হারিয়ে শতাংশ জমির ওপর তৈরি করা কুঁড়েঘর ধরে আঁকড়ে ছিলাম এই ঘরেই তিন ছেলে আর দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতে হয় নদী ভাঙনের কারণে এখন ঘরটিও বিলীন হওয়ার পথে কোথায় যাব, কী করবভেবে পাচ্ছি না

একই এলাকার বাসিন্দা খালেক মোল্লা বলেন, চত্রা নদীর দুই পাশে দুটি গ্রাম ঘি কমলা খাটিয়াগাড়া দুই গ্রামের বাসিন্দারাই এখন নির্ঘুম রাত পার করছে এভাবে চলতে থাকলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঘি কমলা খাটিয়াগাড়া গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাবে

খাটিয়াগাড়া গ্রামের বাসিন্দা টিপু আহম্মেদ বলেন, মে মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) খনন করেছিল ওই সময়ে অপরিকল্পিতভাবে খননের কারণে এবার ব্যাপকভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে

পাউবো সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বালিয়াকান্দি উপজেলার চত্রা নদীর সাত কিলোমিটার অংশ পুনঃখনন কাজ করা হয়েছে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে পাউবো কাজটি বাস্তবায়ন করে

স্থানীয়রা জানায়, চত্রার মতো নারুয়ায় গড়াই নদীর তীর ভাঙতে শুরু করেছে কারণে অন্তত ৩০টি পরিবার বসতি সরাতে বাধ্য হয়েছে পুরো ইউনিয়নে আরো ৩০০ বসতবাড়ি এবং বিস্তীর্ণ ফসলি জমি বিলীনের ঝুঁকিতে আছে ঘি কমলা খাটিয়াগাড়া গ্রামের

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন