কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ নিয়ে জটিলতা কেটে যাওয়ায় ১৫ বছর পর আবার চালু হলো রাঙ্গামাটি শিশুপার্ক। শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকায় অবস্থিত এ শিশুপার্ক গতকাল নতুনভাবে উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম শফি কামাল, পার্ক ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সুনীল কান্তি দে, রাঙ্গামাটি পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মো. কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, রাঙ্গামাটি শিশুপার্কের উন্নয়নে নতুন করে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে। যেহেতু এটি রাঙ্গামাটি শহরের একমাত্র শিশুপার্ক, এটিকে কীভাবে আরো সুন্দর করা যায়, সে ব্যাপারে বোর্ডের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় আমরা পার্কটির উন্নয়নে কাজ শুরু করেছি। এখনো যে জায়গা বেদখল আছে, সেগুলো দখলমুক্ত করে পার্কটিকে আরো দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে এ শিশুপার্কের জমিতে কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নেয় রাঙ্গামাটি পৌরসভা। এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন গ্লোবাল ভিলেজ। এতে পার্কটি বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালে নির্মাণাধীন কমিউনিটি সেন্টারটি ভেঙে ফেলা হয়। এর পাঁচ বছর পর গতকাল পার্কটি আবার চালু করা হয়।
পুনরায় শিশুপার্কটি চালু হওয়া প্রসঙ্গে গ্লোবাল ভিলেজের নির্বাহী পরিচালক ফজলে এলাহী বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর শিশুপার্কটি পুনরায় চালু করা হলো; এটি রাঙ্গামাটিবাসীর জন্য অত্যন্ত খুশির খবর। আমরা বলতে চাই, শিশুপার্কের এখনো কিছু অংশ বেদখলে রয়েছে। আমরা আশাবাদী, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব বেদখল হওয়া জায়গা উদ্ধার এবং পার্কে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এনে এটিকে পূর্ণ রূপ দেবে।