প্রায় ১৪ শতাংশ শিশুই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত

দেশের ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ শিশু মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে এ সমস্য আরো কিছুটা বেশি; তাদের ১৬ দশমিক ৮ শতাংশই এ সমস্যায় ভুগছেন।

গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)আয়োজিতশিশু ও বয়োসন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে ২ দিনব্যাপী ১২তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বক্তারা। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর চাইল্ড অ্যান্ড এডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ এ সম্মেলনের আয়োজন করে। 

বার্ষিক সম্মেলন ও সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মা-বাবা,চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই আরো যত্মবান হতে হবে। শিশুদেরকে শেয়ারমূলক কাজে উৎসাহিত করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক মা বাবা যেন তাদের সন্তানদেরকে নিরুসাহিত না করেন। শিশুদের মনের বিকাশ ও পরিশীলিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের প্রতি আমাদের সকলকে আরো যত্মবান হওয়ার বিকল্প নাই।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, অটিস্টিক শিশু, সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশু,নিউরোজিক্যাল ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত শিশু,প্রতিবন্ধিতার শিকার শিশু,মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের বিষয়ে সবসময়েই অতিমানবিক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে আসছেন এবং সকল ধরণের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের বিষয়ে তিনি সবসময়ই  অত্যন্ত সচেতনতার সাথে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় সব কিছুই করা হবে বলেও জানান তিনি। 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ের ন্যায় সমগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং এটা বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত। বয়োসন্ধিকালীন কিশোর কিশোরীদের চিকিৎসা ও কল্যাণের কথা চিন্তা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইল্ড অ্যান্ড এডোলেসেন্ট মেন্টাল হেলথ উপর এমডি কোর্স চালু করা হয়েছে। আমাদেরকে অবশ্যই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি সমান গুরুত্ব দিয়ে সমদৃষ্টিতে দেখতে হবে। তাহলেই আমরা এক্ষেত্রে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারবো।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন