থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের ইয়ালা প্রদেশের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালিয়েছে সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীরা। এই হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ‘গ্রামরক্ষা বাহিনী’র স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন, তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। থাইল্যান্ড পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার গভীর রাতে দেশটির মুসলিম প্রধান দক্ষিণাঞ্চলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যে থাইল্যান্ডে এমন বড় হামলার ঘটনা ঘটেনি। এই হামলায় বিস্ফোরকও ব্যবহার করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর আঞ্চলিক মুখপাত্র কর্নেল প্রমোত প্রমইন গণমাধ্যমকে বলেন, হামলার সঙ্গে কারা জড়িত এব্যাপরে এই মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না, তবে এটা সম্ভবত বিদ্রোহীদের কাজ হতে পারে। হামলায় ঘটনাস্থলে মারা গেছেন ১২ জন। রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুইজন। আবার বুধবার (০৬ নভেম্বর) সকালেও চিকিৎসাধীন আবস্থায় আরেকজন মারা যান। বাকি আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটা সবচেয়ে বড় হামলা।’
বৌদ্ধ প্রধান থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় মালয়-মুসলিম প্রধান প্রদেশ ইয়ালা, পাত্তানি ও নারাথিওয়াতে এক দশক ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ চলছে। এখানে চলা সহিংসতা পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী ‘ডিপ সাউথ ওয়াচ’ এর তথ্যানুযায়ী, এই প্রদেশ তিনটিতে ২০০৪ সাল থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় এ পর্যন্ত প্রায় সাত হাজার লোক নিহত হয়েছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে গত কয়েক বছর ধরে প্রায়ই এমন হামলার ঘটনা ঘটছে। বিদ্রোহীদের ভাষ্য, তারা ওই অঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে।