২০২৩ নাগাদ দেশের ওষুধ শিল্পের আকার দাঁড়াবে ৭৬০ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় উৎপাদন খাতগুলোর অন্যতম ওষুধ শিল্প।   ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে দেশে ওষুধ শিল্পের অভ্যন্তরীণ বাজার ছিল ২৪৪ কোটি ডলারের। ২০২৩ সাল নাগাদ বাজারের ব্যাপ্তি বেড়ে দাঁড়াবে ৭৬০ কোটি ডলারে, যা বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার সমান।

বাংলাদেশের ব্যক্তি খাতের মূল্যায়ন নিয়ে একটি প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশ করেছে মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি। কম্প্রিহেনসিভ প্রাইভেট সেক্টর অ্যাসেসমেন্ট (সিপিএসএ) শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে।

সম্ভাবনাময় খাতের প্রতিবন্ধকতাগুলোও তুলে ধরেছে ইউএসএআইডি। সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ বলছে, দক্ষ মানবসম্পদের অভাব, রফতানি বাজার সম্প্রসারণে প্রতিবন্ধকতা, কাঁচামালে আমদানি নির্ভরশীলতা ওষুধের মান পরীক্ষাকারী ল্যাবের অনুপস্থিতির মতো প্রতিবন্ধকতাগুলো এখনো রয়ে গেছে সম্ভাবনাময় খাতে।

রাজধানীর আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (অ্যামচেম) কার্যালয়ে গতকাল প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইউএসএআইডি। প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ সফররত ইউএসএআইডির উপপ্রশাসক বনি গ্লিক, ঢাকা মিশন উপপ্রধান জোয়ান ওয়াগনারসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়, বাংলাদেশে ওষুধের অভ্যন্তরীণ বাজারের ব্যাপ্তি ২৪৪ কোটি ডলারের। বার্ষিক রফতানির পরিমাণ ১০ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। খাতটিতে বর্তমানে কর্মরত রয়েছে প্রায় লাখ ৭২ হাজার জন, যার ৮০ শতাংশই বিপণন সরবরাহকেন্দ্রিক। খাতটিতে নারীদের অংশগ্রহণ খুবই কম। বিশেষ করে বিপণন সরবরাহে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগই নেই। কারণ এখানে গোটা কাজটিই করতে হয় মাঠপর্যায়ে। তবে গ্রামীণ এলাকাগুলোয় কিছুসংখ্যক নারী কর্মী স্থানীয় নারীদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। এছাড়া খাতটিতে দক্ষ মানবসম্পদের তীব্র অভাব রয়েছে, যা খাতটির প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলোর অন্যতম। এছাড়া শিল্পে অর্থায়ন, প্রযুক্তি কমপ্লায়েন্স ইস্যুতেও কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তবে তা সামান্য।

প্রতিবেদনে খাতটি বিকাশের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে অবকাঠামোর বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে বন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে দেখানো হয়েছে মধ্যম পর্যায়ের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে। এছাড়া রফতানি বাজার প্রসারে প্রতিবন্ধকতা, কাঁচামালে আমদানি নির্ভরশীলতা, ওষুধের মান পরীক্ষাকারী ল্যাবের অভাবের মতো বিষয়গুলোকে শিল্পের তীব্র প্রতিকূলতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এসব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তৈরি পোশাক শিল্পের পর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাতগুলোর অন্যতম হিসেবে ওষুধ শিল্পকে চিহ্নিত করেছে ইউএসএআইডি।

সংস্থাটির ভাষ্য অনুযায়ী, ওষুধ

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন