আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের দশম সম্মেলন আজ। দীর্ঘ সাত বছর পর জাতীয় সম্মেলন করতে যাচ্ছে সংগঠনটি। আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করা হবে।
কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করতে ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন আবদুর রব সেরনিয়াবাত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটির নয়বার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ সম্মেলন ২০১২ সালের ১৯ জুলাই হয়েছিল। গঠনতন্ত্রে তিন বছর পরপর সম্মেলনের কথা থাকলেও নানা কারণে সাত বছর ধরে কোনো সম্মেলন করতে পারেনি কৃষক লীগ।
সাত বছর পর সম্মেলন হওয়ায় পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ ও উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। সম্মেলনকে সফল করতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। সম্মেলনের মূল মঞ্চ বানানো হয়েছে কৃষকের কাচারিঘরের আদলে। ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থ সেমিপাকা ঘরের পাশে রাখা হয়েছে ‘আমার বাড়ি-আমার খামার’ নামে একটি মডেল।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, কৃষকদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক, দক্ষ কৃষক সংগঠক, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে সংগঠনটির নেতৃত্বে রাখা হবে। কোনোভাবে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন এমন নেতাদের বাদ দেয়া হবে। অন্যদিকে নতুন নেতৃত্বে আলোচনায় রয়েছেন প্রায় দেড় ডজন নেতা। বর্তমান সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা আবারো একই পদে থাকতে চান। আর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা সংগঠনের সভাপতির পদে আসতে চান। এছাড়া এ পদে আসতে চান বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি খান আলতাফ হোসেন ভুলু, শেখ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বদিউজ্জামান বাদশা, হারুনুর রশিদ হাওলাদার, বর্তমান সহসভাপতি শরীফ আশরাফ আলী ও ওমর ফারুক। সাধারণ সম্পাদক পদে জোর আলোচনায় আছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র চন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুইট, আবুল হোসেন, আতিকুল হক আতিক ও বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, জাতীয় সম্মেলনে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মতামত প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটিতে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ত্যাগী ও
